বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শুক্রবার গভীর রাতে জম্মু ও কাশ্মীরের শ্রীনগরের নওগাম থানায় তীব্র বিস্ফোরণে (Nowgam Blast) মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৯ জনের। অধিকাংশই পুলিশ এবং ফরেন্সিক দলের আধিকারিক। ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ২৭ জন। আহতদের মধ্যে বেশ কয়েক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে প্রশাসন।
উত্তর ভারতে তল্লাশি অভিযান, বাজেয়াপ্ত ২৯০০ কেজি বিস্ফোরক
কয়েক দিন আগে হরিয়ানার ফরিদাবাদ এবং উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুরে যৌথ তল্লাশি চালিয়ে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক বাজেয়াপ্ত করেছিল জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ। এই অভিযানে সহায়তা করে হরিয়ানা এবং উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। মোট উদ্ধার হয় প্রায় ২৯০০ কেজি বিস্ফোরক, যার মধ্যে ছিল বোমা তৈরির মশলা এবং অস্ত্রশস্ত্র। শুধু ফরিদাবাদ থেকেই পুলিশ উদ্ধার করে ৩৬০ কেজি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট, যা পরীক্ষার জন্য শ্রীনগরে পাঠানো হয়েছিল। সেই বিস্ফোরক পদার্থই রাখা ছিল নওগাম থানায় (Nowgam Blast)।
পরীক্ষার সময়ই বিস্ফোরণ (Nowgam Blast)
অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট পরীক্ষা করতে নওগাম থানায় (Nowgam Blast) উপস্থিত ছিলেন বেশ কয়েক জন ফরেন্সিক আধিকারিক। ঠিক কী ভাবে বিস্ফোরণ ঘটল, কোথায় গাফিলতি, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে তদন্তকারীদের একাংশের অনুমান, বাজেয়াপ্ত করা এই বিস্ফোরকই দিল্লির লালকেল্লার সামনের বিস্ফোরণে ব্যবহার হয়ে থাকতে পারে। যে গাড়িটি দিল্লির বিস্ফোরণে ব্যবহৃত হয়েছিল, সেটিও ফরিদাবাদ থেকেই এসেছিল। এমনটাই দাবি তদন্তের সঙ্গে যুক্ত আধিকারিকদের।
এলাকায় কড়া নিরাপত্তা
বিস্ফোরণে (Nowgam Blast) আহতদের ভারতীয় সেনার ৯২ বেস হাসপাতাল এবং শের-ই-কাশ্মীর ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেসে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার খবর পেয়েই রাতেই উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকরা নওগাম থানায় পৌঁছন। বিস্ফোরণস্থল ঘিরে ফেলে নিরাপত্তাবাহিনী। পুরো এলাকা খালি করে দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ আদালতের রায় সত্ত্বেও ১০০ দিনের টাকা আটকে! কেন্দ্রের নতুন শর্তে ক্ষোভ নবান্নের
দিল্লির বিস্ফোরণের পিছনে জঙ্গি-যোগ মিলতেই তদন্ত নতুন মোড় নেয়। শ্রীনগরের রাস্তায় জইশ-ই-মহম্মদের সমর্থনে পোস্টার সাঁটতে দেখা গিয়েছিল এক চিকিৎসককে। সিসিটিভি ফুটেজ থেকে শনাক্ত করে তাঁকে গ্রেপ্তার করে নওগাম থানার পুলিশ। ওই চিকিৎসক আদিলকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই ফরিদাবাদে মজুত বিস্ফোরক তথ্য প্রথম জানতে পারে তদন্তকারীরা। সেই সূত্র ধরেই এবার নওগাম বিস্ফোরণের (Nowgam Blast) পুরো ঘটনার তদন্তে নেমেছে একাধিক কেন্দ্রীয় সংস্থা।












