বাংলা হান্ট ডেস্ক: “আমি পাকিস্তান থেকে এসে এসেছি আমাকে জীবনে বাচান” পুলিশ থানায় গিয়ে কাতর প্রার্থনা জানায় শরণার্থী। সেই মানুষগুলো কিন্তু তাদের দুঃখ কষ্ট বুঝে নিয়ে তারা খুব বেকায়দায় পড়ে নিজের কষ্টসহিষ্ণু জীবনকে উপেক্ষা করে এসে পৌঁছায়। কিন্তু বিরোধীরা তা কখনো চোখে দেখেনি। দিল্লির রামলীলা ময়দান থেকে আর এভাবেই শানিতো দৃষ্টিভঙ্গিতে ভাষণ চালিয়েছেন মোদি। এবং বিরোধীদের ভারসাম্যহীন মিথ্যা তাকে ধরাশায়ী করতে রামলীলা ময়দান থেকে হুংকার ছাড়ে মোদি।
দিল্লির একটি শিবিরে একটি ছোট মেয়ের জন্ম হয়েছিল তার নাম রেখেছে তার বাবা-মার নাগরিকতা। কিন্তু একটি মেয়ে যখন নাগরিকতা নিয়ে জন্মগ্রহণ করেন তখন তা নিয়ে বিরোধীদের এত চিন্তা কিসের? কয়েক দশক ধরে দেশে লক্ষ লক্ষ গরিব মানুষ যারা শরণার্থীর তাদেরকে কেন এতদিন কংগ্রেস নাগরিকতা দিতে পারেনি? এবং তারা শোষিত দলিত ঘরের লোক।
এনআরসি নিয়ে অনেকদিন পর মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী। মোদী দিল্লির রামলীলা ময়দান থেকে তার বিধ্বংসী ভাষণে তিনি দেশের সমস্ত জনগণের উদ্দেশ্যে বলেন এনআরসি শব্দ নিয়ে এর আগে কোন কথা হয়নি। কিন্তু সুপ্রিমকোর্ট আসামের জন্য শুধু এ বিষয়টি করতে বলেছিলেন। শুধু বিরোধীরা মিথ্যার পর মিথ্যা প্রচার করে চলেছে এমনই দাবি প্রধানমন্ত্রীর। কাক কান নিয়ে চলে গেল, কিন্তু তাকে না দেখে কিছু লোক কংগ্রেসের পেছনে দৌড়াচ্ছে। এমনই কংগ্রেসকে একহাত নেন মোদি। সমস্ত মুসলমানকে ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
এমনি এমনি কথা প্রচার করছে বিরোধীরা। আর তিনি হয়রান হয়ে গেছেন এই কথাটি দেখে যে বড় বড় শিক্ষিত মানুষরাও এই মিথ্যাকে প্রশ্রয় দিয়েছে। বারবার মিডিয়া যখন প্রশ্ন করতে ডিটেনশন ক্যাম্প কোথায় বানানো হয়েছে! তখন কোন লোক উত্তর দিতে পারছে না । তারা নাকি শুনেছে। অর্থাৎ সমস্ত বিষয়টি যে বিরোধীদের একটা চক্রান্ত তা বারবার করে রামলীলা ময়দান থেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
তিনি বলেছেন তার কুশপুতুল জানানো হোক তার কুশপুত্তলিকা জুতা মারা হোক, কিন্তু দেশকে ধ্বংস করবার জন্য কংগ্রেস এবং নকশাল বাদীরা একদম মিথ্যা কথা বলে দেশকে তছনছ করবার চেষ্টা করছে। এমনই দাবি করেন মোদি। দেশের জনগণকে যেন অশান্তির মধ্যে ভুগতে না হয়। দেশের বিদ্যুৎ প্রকল্প গ্যাস প্রকল্প ঘর প্রকল্প আয়ুষ্মান ভারত এগুলো কোন কিছুতেই জাতিভেদ দেখা হয় না। শুধু গরীব মানুষের দিকে তাকিয়ে এই কেন্দ্র সরকার কাজ করে চলেছে।
তার যদি প্রমাণ করে দিতে পারে তাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন ওপেন মঞ্চ থেকে। বাংলাদেশ পাকিস্তান আফগানিস্তান থেকে যে সমস্ত শরণার্থীরা এসেছেন তাদের প্রতারিত যেন না হয় তাদের জন্য এই আইন। পকিস্থান থেকে আসা দলিত গরীব মানুষগুলোকে যেন কিছু দলিত মন্ত্রীও দিতে চাইছে না দেশের নাগরিকত্ব এমনই অভিযোগ প্রধানমন্ত্রীর। মেয়েদের সাথে কিভাবে অকথ্য অত্যাচার হচ্ছে তাদেরকে ধর্ম পরিবর্তন করে ব্যবহার করা হচ্ছে তা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
দেশের কিছু শহরের ট্রেন-বাস জ্বালিয়ে যেভাবে সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করা হচ্ছে, পুলিশকে যেভাবে হত্যা করা হচ্ছে তার কঠোর ভাষায় নিন্দা করেন তিনি আর বিজেপি দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর যেন সাধারণ মানুষের আশীর্বাদ কে কংগ্রেস চোখে দেখতে পাচ্ছেন আবার সহ্য হচ্ছে না এমনই মনে করেন প্রধানমন্ত্রী।
‘মিথ্যা বেশি দিন চলে না!’ সন্দেশখালি ইস্যুতে মমতার মন্তব্যে বিরাট শোরগোল