বাংলা হান্ট ডেস্ক : এনআরসি নিয়ে একের পর এক বিবৃতিতে তোলপাড় হয়েছে রাজ্য। হারতে হয়েছে প্রায় তিনটি বিধানসভা উপনির্বাচন। পায়ের তলার মাটি অনেকটাই আলগা হয়েছে বিজেপি সরকারের। যে বীজ বপন করেছিল মোদি হাওয়া। সেই বীজ কিন্তু এখন প্রায় নষ্ট হবার পথে।
নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান থেকে আগত হিন্দু, শিখ, বুদ্ধ, জৈন, পার্সি, খ্রিস্টানদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে ভারতে আসা সেইসব দেশের ধর্মীয় সংখ্য়ালঘু মানুষদের জন্য এই বিল। এই বিল নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়ে গিয়েছে বিরোধীদের মধ্যে। তাদের কথায় ধর্মভিত্তিক বিল হলেও তা কিভাবে প্রমান করবে বিজেপি সরকার? কিন্তু প্রশ্ন অন্য জায়গায় যদি এই বিলটি একবার পাশ করিয়ে নিতে পারে তবে অনেকটাই পালে হাওয়া লাগবে বিজেপির ভোট ব্যাংকে। এমনই মনে করছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ।
আগামী ১০ ডিসেম্বর সংসদে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পেশ হতে চলেছে। অসমের অর্থমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, সংসদে ১০ ডিসেম্বর বিলটি পাস হতে পারে। এনআরসি নিয়ে আতঙ্কে রয়েছেন অসমবাসী।
কেউ কেউ মনে করছেন, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাস হলে অসম-পশ্চিমবঙ্গের অমুসলিমদের এনআরসি আতঙ্ক দূর হবে। তারমধ্যে 2021 এ পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচন। আর সেখানে এনআরসি নিয়ে সঠিক তথ্য বা পর্যালোচনা ভিত্তিক আলোচনা না হলে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে। অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষকের মতে এই বিষয়ে মোদি সরকার ডিসেম্বর এই বিলটি পাশ করিয়ে নিতে তৎপর। কারণ এই সময় লোকসভা ও রাজ্যসভার উভয় জায়গায় তাদের শক্তিশালী রয়েছে।