বাংলা হান্ট ডেস্কঃ জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল (NSA Ajit Doval) রবিবার চীনের বিদেশ মন্ত্রী আর রাজ্য কাউন্সিলরের সাথে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যে কথা বলেন। আর এর ঠিক একদিন পরই গালওয়ান এলাকা থেকে চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি পিছু হটা শুরু করে। সুত্র অনুযায়ী, এতদিন ধরে লাগাতার আক্রমণাত্বক স্বভাব আপন করে নেওয়া চীন, ভারতের একের পর এক কড়া পদক্ষেপের পর পিছু হটতে বাধ্য হয়।
সুত্র অনুযায়ী, এলএসিতে চীনের পিছু হটার সবথেকে বড় কারণ হল ভারত দ্বারা নেওয়া একেরপ পর এক কড়া পদক্ষেপ। এখনো চীন এমন কোন প্রতবেশি পায়নি, যারা লাল ফৌজের বিরুদ্ধে অটল হয়ে দাঁড়িয়ে থেকে লাগাতার চ্যালেঞ্জ জানিয়ে যায়। চীন এতদিন ধরে যাঁদের জমি দখলের চেষ্টা চালিয়েছে, তাঁরা সবাই চীনের সামনে মাথা নোয়াতে বাধ্য হয়েছে। কিন্তু ভারত চীনের চোখে চোখ লাগিয়ে একজায়গায় দাঁড়িয়ে ছিল। আর ভারতীয় সেনাও চীনের বড়সড় ক্ষতি করেছে, যেটা এখনো পর্যন্ত চীনের কোন প্রতিবেশী করেনি। এছাড়াও সীমান্তে ভারতীয় সেনার প্রস্তুতিও ঘাবড়ে দিয়েছে চীনকে। তারপর ডিজিট্যাল স্ট্রাইক হিসেবে চীনের অ্যাপ বন্ধ করা এবং গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো একের পর এক বিদেশী শক্তি ভারতের পাশে এসে দাঁড়ানো। সবকিছুতেই পিছিয়ে ছিল চীন।
ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রালয় দোভাল আর চীনের প্রতিনিধিদের চলা ভিডিও কনফারেন্স নিয়ে একটি বয়ান জারি করেছে। ওই বয়ানে বলা হয়েছে যে, NSA দোভাল আর চীনের বিদেশ মন্ত্রী সীমান্তের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন। আর দুই জনেই অতি শীঘ্রই সীমান্ত থেকে সেনা সরিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার কোথায় জোর দেন।
অজিত দোভাল এবং চীনের বিদেশ মন্ত্রীর এই বৈঠকের প্রতিক্রিয়া একদিন পরেই দেখা যায়। আধিকারিকরা জানান, চীনের সেই জায়গা থেকে প্রায় এক কিমি পিছিয়ে গেছে, যেখানে ১৫ জুন রাতে দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছিল। ওই সংঘর্ষে দুই পক্ষেরই ক্ষতি হয়েছিল। তবে ভারতের থেকে চীনের ক্ষতির পরিমাণ দ্বিগুণ বলেই মতো বিশেষজ্ঞদের।