বাংলাহান্ট ডেস্ক: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকা সংসদীয় বৈঠকে অনুপস্থিত নুসরত জাহান (nusrat jahan) ও মিমি চক্রবর্তী (mimi chakraborty)। এই ‘অপরাধ’এই শো কজ করা হল তৃণমূলের দুই তারকা সাংসদকে। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারন সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আয়োজন করেছিলেন একটি সংসদীয় বৈঠক। কিন্তু সেখানে দেখা মেলেনি বসিরহাট ও যাদবপুরের সাংসদ।
অভিনয় জগতের এই দুই ‘বন্ধু’ সাংসদ একসঙ্গে গরহাজির কেন বৈঠকে? নুসরত মিমিকে তার কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে বলে খবর। দিন কয়েক আগেই সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের শুরুর দিন একসঙ্গে সংসদে গিয়েছিলেন মিমি নুসরত। অনেকদিন পরে একসঙ্গে দেখা মিলেছিল তাঁদের।
কিছুদিন দিল্লিতে কাটিয়ে তারপরেই কলকাতায় ফিরেছিলেন তাঁরা। এমনকি সংসদে দাঁড়িয়ে লাভজনক রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলির বেসরকারিকরণ নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দাগতেও দেখা গিয়েছিল নুসরতকে। তিন মাসের একরত্তি ছেলেকে কলকাতায় রেখেই দিল্লি গিয়েছিলেন তিনি।
কিন্তু অভিষেকের ডাকা সংসদীয় বৈঠকে তিনি কেন উপস্থিত হননি তা জানা যায়নি। সোশ্যাল মিডিয়ায় অবশ্য সেজেগুজে বেশ কিছু ছবি পোস্ট করেছেন তিনি। বিয়েবাড়ির সাজে দেখা গিয়েছে নুসরতকে। ছবি তুলে দিয়েছেন স্বামী যশ দাশগুপ্ত। তবে এত সাজগোজ কেন তা জানাননি। অপরদিকে মিমি চক্রবর্তী এখন এ রাজ্যেই নেই। রাজস্থানে মিউজিক ভিডিওর শুটিংয়ে ব্যস্ত তিনি।
লোকসভার শীতকালীন অধিবেশনের প্রথম দিনেই বিতর্কে জড়িয়েছিলেন নুসরত মিমি। এদিন সংসদ থেকে ছয় জন মহিলা সাংসদের মাঝে কার্যত মধ্যমণি হয়ে লেন্সবন্দি হন শশী থারুর। গ্রুপ সেলফিটি তুলেছিলেন যাদবপুরের তৃণমূল সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। তার পেছনেই লাল শাড়ি সোনালি ব্লাউজে দেখা মেলে বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহানের।
ছিলেন কংগ্রেস সাংসদ তথা পঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রিনীত কৌর, এনসিপি ও কংগ্রেস সাংসদ জ্যোতিমান সেন্নিমালাই এবং থামিঝাচি থাঙ্গাপান্ডিয়ান। ছয় জন মহিলা সাংসদ পরিবেষ্টিত হয়ে হাসি মুখে ক্যামেরার লেন্সের দিকে তাকিয়ে শশী থারুর। ক্যাপশনে তিনি লেখেন, ‘কে বলে লোকসভা কাজ করার জন্য আকর্ষণীয় জায়গা নয়? আজ সকালে আমার ছয় সহ সাংসদদের সঙ্গে।’ বিষয়টা নিয়ে বিতর্ক শুরু হলেও কংগ্রেস সাংসদের পাশেই দাঁড়িয়েছিলেন মিমি।