বাংলাহান্ট ডেস্ক: নুসরত জাহান (nusrat jahan) ও যশ দাশগুপ্ত (yash dasgupta), গত এক বছর ধরে একটানা সংবাদ শিরোনামে রয়েছেন টলিউডের এই ‘মোস্ট হ্যাপেনিং’ জুটি। গত বছর পুজোর পর থেকেই লাইমলাইট কাড়তে শুরু করেন দুজন। প্রথমে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভালবাসার ইঙ্গিত, তারপর রাজস্থান সফর। একত্রে বহু জায়গাতেই সময় কাটিয়েছেন যশরত যার ইঙ্গিত সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে পেয়েছেন আমজনতা।
মাস খানেক আগেই যশের সন্তানের মা হয়েছেন নুসরত। হাজার লুকোচুরির পর অবশেষে সর্বসমক্ষে অভিনেত্রী স্বীকার করেছেন যশই তাঁর সন্তানের বাবা। সম্প্রতি শাঁখা পলা, সিঁদুর পরেও প্রকাশ্যে এসেছেন নুসরত, যশকে স্বীকার করেছেন স্বামী রূপে। একে একে তাঁর ‘সহবাস সঙ্গী’ নিখিল জৈনের সব কথাই সত্যি হচ্ছে। লুকানোর আর কিছুই অবশিষ্ট নেই। শেষমেষ নিজেদের প্রেম ও অভিভাবকত্ব নিয়ে মুখ খুললেন যশ নুসরত।
এক ইংরেজি দৈনিককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বাধাহীন ভাবে একে অপরের প্রতি ভালবাসা জাহির করলেন যশরত। এখন যাকে চোখে হারাচ্ছেন এক সময় নাকি তাকেই সহ্য করতে পারতেন না যশ। তিনি জানান, আগে আগে নুসরতকে প্রচণ্ড দাম্ভিক মনে হত তাঁর। কিন্তু একটি ছবিই বদলে দেয় দুজনের সম্পর্কের সমীকরণ। নিখিলের দাবি অনুযায়ী সম্ভবত সেটি ‘SOS Kolkata’ই।
লোকচক্ষুর থেকে বাঁচিয়ে রোম্যান্স করতে সমস্যা হত না? নুসরত জানান, দুজনে একসঙ্গে অনেক সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন। কখনো রাজস্থানে চাঁদনি রাতে মরুভূমির মধ্যে নৈশভোজ সেরেছেন। আবার কখনো রাস্তার ধারের দোকানে নিজে হাতে নুডলস বানিয়েও খাইয়েছেন তিনি যশকে।
নুসরত বলেন, “আমি যখন পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ও (যশ) আমাকে একটা রোড ট্রিপে নিয়ে গিয়েছিল। চারিদিকে কুয়াশা ছিল, কী ভয়ই না পেয়েছিলাম আমি। কিন্তু ও আমাকে শান্ত করে যাতে আমি প্রকৃতির শোভা উপভোগ করতে পারি। আমাদের কাছে এটাই রোম্যান্স।” নুসরতের সঙ্গে সুর মিলিয়ে যশ বলেন, “আমরা সত্যিই খুব পুরনোপন্থী। আমরা হাতে হাত ধরি, বৃষ্টিতে ভিজি”।
নুসরত বলেন, কম সময়ের পরিচয়ে শুধুমাত্র দূজন মানুষ একে অপরকে ভালবেসে সন্তান গ্রহণ করা নিঃসন্দেহে সাহসী কাজ ছিল। তিনি নাকি যশকে বলেছিলেন, তিনি যদি পিতৃত্ব অস্বীকারও করেন তবুও সন্তানকে পৃথিবীতে আনবেন নুসরত। অভিনেত্রী জানান, তাঁরা এখন নিশ্চিন্ত। সিদ্ধান্তটা যে তাঁরা নিয়েছিলেন তাতেই তাঁদের খুশি।