বাংলাহান্ট ডেস্ক: কয়েক কোটি টাকা আর্থিক প্রতারণার দায়ে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়েছে তৃণমূল সাংসদ তথা অভিনেত্রী নুসরত জাহানকে (Nusrat Jahan)। সাধারণ মানুষের টাকা গ্রাস করে তা দিয়ে ফ্ল্যাট কেনার মতো গুরুতর অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। ইডির দ্বারস্থ হওয়ার পাশাপাশি আদালতেও মামলা দায়ের হয়েছে নুসরতের বিরুদ্ধে। এবার সাংবাদিক সম্মেলন করে এই মামলায় বড় বয়ান দিলেন নুসরত।
মেসার্স সেভেন সেন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি সংস্থার বিরুদ্ধে উঠেছে প্রতারণার অভিযোগ। কয়েকজন প্রবীণ নাগরিক অভিযোগ জানিয়েছেন, ফ্ল্যাট কেনার জন্য ৫ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা করে ওই সংস্থাকে ফ্ল্যাট কেনা বাবদ দিয়েছিলেন ৪২৯ জন। কিন্তু বেশ কয়েক বছর কেটে গেলেও ফ্ল্যাট তো তারা পানইনি, উপরন্তু প্রায় ২৪ কোটি টাকা ভাগ বাঁটোয়ারা হয়েছে সংস্থার ডিরেক্টরদের মধ্যে।
এই সংস্থার অন্যতম ডিরেক্টর নুসরত, এমনটাই দাবি করেছিলেন অভিযোগকারীরা। সংস্থার আরেক ডিরেক্টর রূপলেখা মিত্রও দাবি করেন, ডিরেক্টর থাকাকালীন ওই সংস্থা থেকে অনেক সুবিধা পেয়েছেন নুসরত। এতদিন মুখে কুলুপ এঁটে রাখলেও এবার সাংবাদিক সম্মেলন করে নিজের বক্তব্য রাখলেন অভিনেত্রী সাংসদ। মিত্রও দাবি করেন, ডিরেক্টর থাকাকালীন ওই সংস্থা থেকে অনেক সুবিধা পেয়েছেন নুসরত। এতদিন মুখে কুলুপ এঁটে রাখলেও এবার সাংবাদিক সম্মেলন করে নিজের বক্তব্য রাখলেন অভিনেত্রী সাংসদ।
তিনি যে ওই সংস্থার ডিরেক্টর ছিলেন সেটা স্বীকার করে নিয়েছেন জনপ্রতিনিধি। সংস্থার থেকে টাকা নেওয়ার কথাও মেনে নিয়েছেন তিনি। তবে নুসরতের দাবি, ওই টাকাটা তিনি ঋণ হিসেবে নিয়েছিলেন। আবার সুদসমেত ফেরতও দিয়ে দিয়েছেন।
পাশাপাশি নুসরত দাবি করেন, তিনি ‘৩০০ শতাংশ’ সৎ। কোনো দুর্নীতি করে থাকলে তিনি সবার সামনে এসে দাঁড়াতেন না। অভিনেত্রীর কথায়, তিনি সংবাদ মাধ্যমে অনেক কিছু দেখেছেন। সেগুলো নিয়ে স্পষ্ট ধারণা দিতেই এই সাংবাদিক সম্মেলন করেন তিনি।