বাংলাহান্ট ডেস্ক: ছেলে ঈশান জাহানের বয়স আড়াই মাস। যশ দাশগুপ্তের সঙ্গে বিয়েটাও একরকম স্বীকার করে নিয়েছেন নুসরত জাহান (nusrat jahan)। তবুও নিখিল জৈনের (nikhil jain) সঙ্গে বিয়ে বিতর্কটা এখনো ভুলতে পারেননি সাংসদ অভিনেত্রী। মাঝে মধ্যেই এ প্রসঙ্গে বিষ্ফোরক মন্তব্য করে লাইমলাইট কেড়ে নেন তিনি।
এবার ফের এই বিষয়ে ফের মুখ খুললেন নুসরত। এবারে তাঁর দাবি, তুরস্কে বিয়ের কোনো খরচই নাকি নিখিলের পরিবার দেয়নি তাঁকে। এক ইংরেজি সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে নুসরত বলেন, “ওরা আমার বিয়ের খরচ দেয়নি। আমার হোটেলের বিলের টাকা ওরা দেয়নি। ওদের কিছুই বলার নেই আমার। আমি নিজে সৎ। আমাকে ভুল ভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছিল। এখন আমি সব কৈফিয়ত দিয়ে দিয়েছি।”
নুসরত আরো দাবি করেন, গোটা বিতর্কের মধ্যেই কারোর নাম করেননি তিনি। কাউকে ছোট করার ইচ্ছা নেই তাঁর। তবে তিনি এও বলেন, অন্যকে খারাপ দেখানো বা অন্যকে দোষারোপ করা অনেক সোজা। এর আগেই নুসরত দাবি করেছিলেন, তিনি নিজে ‘সহবাস’ এর কথা বলেননি। নিখিল যে ডিভোর্স পেপার তাঁকে পাঠিয়েছিলেন তাতৈই লেখা ছিল ‘সহবাস’ কথাটি। তিনি সেটাই বলেছেন। নিখিলের কথাকে তাঁর কথা বলে ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন নুসরত।
নুসরত বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছিলেন, তুরস্কে নিখিল ও তাঁর বিয়ে নাকি এদেশের মতে আইনত সিদ্ধ নয়। উপরন্তু কোনো রেজিস্ট্রিও হয়নি তাঁদের বিয়ের। যদিও নিখিল দাবি করেছেন, তিনি বহুবার নুসরতকে রেজিস্ট্রি করতে বললেও সেকথা কানে তোলেননি নুসরত। বিতর্কের পর ম্যারেজ অ্যানালমেন্টের প্রতিলিপি লোকসভায় জমা দিয়েছেন বলেও জানিয়েছিলেন অভিনেত্রী। তখনো প্রশ্ন উঠেছিল, যদি বিয়েই না হয় তবে কীসের ম্যারেজ অ্যানালমেন্ট? কিন্তু কোনো উত্তর দেননি নুসরত।