বাংলাহান্ট ডেস্ক: গতকাল অর্থাৎ ৩রা জানুয়ারি মুক্তি পেয়েছে বহু প্রতীক্ষিত ছবি ‘অসুর’। ছবিটি ঘোষনার সময় থেকেই ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি করেছিল সিনেপ্রেমীদের মধ্যে। তার অবশ্য অনেকগুলো কারন রয়েছে। এক তো জিতকে এই ছবিতে দেখা যাবে সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী একটি চরিত্রে। দ্বিতীয়ত, ট্রেলারে সবথেকে বড় দূর্গার উল্লেখ স্বাভাবিক ভাবেই মানুষের মনে একটা কৌতূহলের উদ্রেক করেছিল। সবথেকে বড় কথা, দীর্ঘ দিন পরে বড়পর্দায় ফিরছেন নুসরত জাহান। সাংসদ নির্বাচন ও বিয়ের পর ‘অসুর’এর হাত ধরেই কামব্যাক করেছেন তিনি।
৩রা জানুয়ারি ছিল ‘অসুর’এর প্রিমিয়ার। এতদিন পর অভিনয়ে ফিরে কেমন লাগছে? উত্তরে নুসরত জানান, কামব্যাক করার জন্য একটা চ্যালেঞ্জিং চরিত্র খুঁজছিলেন তিনি। অদিতির চরিত্রের মধ্যে সেই চ্যালেঞ্জ খুঁজে পেয়েছেন তিনি। তাই লুফে নিয়েছেন সুযোগ। পরিচালক পাভেলকে এর জন্য ধন্যবাদও জানান নুসরত। পাশাপাশি এও জানান যে রাজনীতি ও অভিনয় দুটোই সমান তালে চালিয়ে যাবেন তিনি। প্রিমিয়ারে অভিনেত্রীর অনেক অতিথিই আমন্ত্রিত ছিলেন। সেই বিষয়ে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, “শ্বশুরবাড়ি বাপেরবাড়ি দুই তরফে বলতে গিয়ে রাবণের গুষ্টি হয়ে গিয়েছে। অনেক বড় লিস্ট। তবে মিমি কলকাতায় থাকলে ও নিশ্চয়ই আসত।”
নুসরত জানান, অদিতি চরিত্রটা করতে গিয়ে বেশ কসরত করতে হয়েছে তাঁকে। রীতিমত ওয়ার্কশপ করে তারপর অভিনয় করতে নেমেছেন তিনি। এমন যে একটা চরিত্র হতে পারে তা তাঁর ধারনার বাইরে ছিল। অভিনেত্রীর কথায়, “জটিল সম্পর্ককে সরল ভাবে উপস্থাপন করবে অসুর”।
নুসরত আরও জানান, নতুন বছরে তাঁর রেজোলিউশন, তিনি চুপ করে থাকবেন। কারন কিছু বললে মিডিয়া, তার অন্য মানে করে বিতর্কের সৃষ্টি করে। নেত্রী না অভিনেত্রী কোনটা বেশ পছন্দ করেন সাংসদ অভিনেত্রী। নুসরতের উত্তর, নেত্রীর থেকে অভিনেত্রী তকমাটাই বেশ পছন্দের তাঁর। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে তাঁর নতুন ছবি ‘অসুর’এর জন্য শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সেকথা বলতেও ভোলেননি তিনি। তবে ব্যস্ত শিডিউলের চাপে মুখ্যমন্ত্রী ছবি দেখতে আসতে পারবেন কি না তা জানেন না নুসরত।