বাংলা হান্ট ডেস্ক : লড়াই করেও শেষরক্ষা হল না। মৃত্যু হল ওড়িশার স্বাস্থ্যমন্ত্রী নব দাসের (Naba Das)। আজ দুপুরে ঝাড়সুগুদা জেলার ব্রজনগরের কাছে গান্ধী চকে রাজ্য পুলিসের এক সাব-ইনস্পেক্টর তাঁকে লক্ষ্য করে দুটি গুলি ছোঁড়ে। রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন তিনি। তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে এয়ারলিফট করে ভুবনেশ্বরে নিয়ে যাওয়া হয়। আক্রমণকারী ওই পুলিস কর্মীকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
রবিবার সকালে ব্রজরাজনগরে মন্ত্রীকে লক্ষ্য করে গুলি চালান অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইন্সপেক্টর গোপাল দাস। মন্ত্রীর বুকে গুলি লাগে। গুরুতর আহত নবকে প্রথম জেলা সদর হাসপাতালে ভরতি করা হয়। পরে অবস্থা সঙ্কটজনক হওয়ায় তাঁকে ভুবনেশ্বরের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিস সূত্রে জানা যাচ্ছে, ব্রজরাজনগরেরই গান্ধী চকে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যান মন্ত্রী। সেখানে গাড়ি থেকে নামতেই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালান অভিযুক্ত গোপাল।
জানা যাচ্ছে মানসিক ভাবে অসুস্থ ছিলেন ওই পুলিসকর্মী। এএসআইয়ের স্ত্রী জয়ন্তী দাস বলেন, ‘আমি জানতাম না ঠিক কী ঘটেছে। আমি বাড়িতে ছিলাম। সকালে ভিডিও কলে মেয়ের সঙ্গে কথা বলেছিল স্বামী।’ তিনি জানান, গত সাত-আট বছর হল মানসিক অসুস্থতার কারণে চিকিৎসা চলছিল গোপালের। তবে ওষুধ খেলে সুস্থ থাকত। পাঁচ মাস আগে শেষবার বাড়ি এসেছিল।
ঘটনার পর ব্রজরাজনগরের সাব-ডিভিশনাল পুলিস অফিসার গুপ্তেশ্বর ভোই জানান, ‘এএসআই গোপাল দাস আচমকাই সার্ভিস রিভলভার বের করে মন্ত্রী নব কিশোর দাসকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। গুরুতর জখম মন্ত্রীকে দ্রুত জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।’ এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, মন্ত্রী গাড়ি থেকে বেরোনো মাত্রই তাঁর উপর আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় গোপাল। পর পর চার থেকে পাঁচবার গুলি চালিয়েছিল ওই এএসআই। সঙ্গে সঙ্গে গাড়ির সামনে লুটিয়ে পড়েন মন্ত্রী। অভিযুক্ত পালানোর চেষ্টা করলেও লোকজন তাঁকে ধরে ফেলেন।