বাংলা হান্ট ডেস্ক: চলতি মাসে পরপর তিনদিন ছুটি রয়েছে। এই ছুটি উপলক্ষে অনেকেই ঘুরতে যাওয়ার প্লান করছেন। তবে আপনি এখনো ঠিক করে উঠতে পারেননি কোথায় যাবেন। চিন্তার কিছু নেই। আপনি এই তিনদিনের ছুটিতে যেতে পারেন ওড়িশা (Odisha)। বর্ষা উপভোগ করতে এবং তিনদিন প্রকৃতির মাঝে কাটাতে চলে আসুন ওড়িশার এমন কিছু জায়গা আছে যেখানে গেলে আপনার মন ভালো হতে বাধ্য। পাশাপাশি দূরে না গিয়েও সবুজের মাঝে সময় কাটাতে পারবেন এখানে আপনি।
অগষ্টের ৩ দিনের ছুটিতে ঘুরে আসতে পারেন ওড়িশার এই তিনটি জায়গা থেকে (Odisha)
১৫ থেকে ১৭ অগস্ট পরপর তিনদিন ছুটি। আর দেরি না করে চটপট ব্যাগ গুছিয়ে ফেলুন (Travel)। তিনদিনের ছুটি আপনি শহরের কোলাহল থেকে দূরে থাকতে চাইলে ঘুরে আসতে পারেন ওড়িশা (Odisha) থেকে। এবার ওড়িশার কথা বললেই মাথায় আপনার পুরি (Puri), জগন্নাথ মন্দির (Jagannath Temple), চিল্কা হ্রদের (Chilika Lake) কথা মনে আসবে হয়তো। তবে এই গুলো তো অনেকবার গেছেন। এবার ঘুরে আসুন ওড়িশার (Odisha) সিমলিপাল, কুলডিহা, সাতকোশিয়া, ভেটনাইয়ের মতো জায়গা থেকে। কী ভাবে যাবেন, রইল টিপস।
আরও পড়ুন: জয়েন্টের ব্যথায় নাজেহাল! রান্নাঘরের এই ‘সামান্য’ উপকরণে পাবেন আরাম, জানুন ঘরোয়া টোটকা
সিমলিপাল (Simlipal): ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ জেলার অসাধারণ জঙ্গলমহল সিমলিপাল (Simlipal)। এখানে গেলে আপনি শালের গভীর বনে বহু বন্যপ্রাণী দেখতে পারবেন। পাশাপাশি এই জঙ্গলের বুক চিরে রয়েছে খৈরী, সারাণ্ডী, পলপলা নদী। প্রতি বছর ১ নভেম্বর থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত সিমলিপালের জঙ্গল পর্যটকদের জন্য খোলা থাকে। ওই সময়ে সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত জঙ্গল বেড়ানোর অনুমতি মেলে।
কুলডিহা (Kuldiha): চাঁদিপুর থেকে মাত্র ৪৫ কিঃমিঃ দূরে অবস্থিত কুলডিহা (Kuldiha)। এই অরণ্যভূমি ১৯৮৪ সালে অভয়ারণ্যের স্বীকৃতি পায়। চিতা, হরিণ, পাইথন, শম্বর, হাতি, ভাল্লুক নিয়েই ওড়িশার কুলডিহার জঙ্গল। তবে এখানে অনুমতি ছাড়া জঙ্গলে প্রবেশ করা যায় না।
সাতকোশিয়া (Satkosia): ওড়িশার অন্যতম জায়গা সাতকোশিয়া (Satkosia)। এখানে গেলে আপনি দেখতে পাবেন ঘন জঙ্গল। পাশাপাশি এই জায়গাটি সবুজ পাহাড়ি বনের মধ্যে দিয়ে প্রায় সাতক্রোশ মাইল পথ পাড় করে এসেছে। তাই এই জায়গাটির নাম দেওয়া হয়েছে সাতকোশিয়া। জানা যায় এই জায়গাটি ওড়িশার দ্বিতীয় বৃহত্তম ব্যাঘ্র প্রকল্প। এখানে আসলে আপনি পাখিদের ডাক শুনতে পারবেন। এছাড়াও এখানে প্রাকৃতিক পরিবেশ আপনার মন ভালো করতে বাধ্য।