ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেওয়া হল ওড়িশার মহিলা কমিশনকে, নির্যাতিতা ডাক্তারি পড়ুয়াকে নিয়ে নতুন করে চাঞ্চল্য দুর্গাপুরে

Published on:

Published on:

Odisha Women's Commission barred from entering hospital to see Durgapur Rape incident victim

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দুর্গাপুরের গণধর্ষণের (Durgapur Rape Incident) শিকার ডাক্তারি পড়ুয়াকে দেখতে রাজ্যে এসেছিলেন ওড়িশার মহিলা কমিশনের প্রতিনিধি দল। তবে সূত্রের খবর, গতকাল হাসপাতালে নির্যাতিতার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে তারা বাধার মুখে পড়েন। জানা যায়, নির্যাতিতা ওই ছাত্রী ওড়িশার বাসিন্দা। এই আবহে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে প্রতিনিধি দল পশ্চিমবঙ্গ সফরে এসেছিলেন। কিন্তু তাদেরকে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ ওঠে।

ব্যারিকেড দিয়ে প্রতিনিধি দলকে ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ (Durgapur Rape Incident)

হাসপাতালের কর্মীরা ব্যারিকেড দিয়ে প্রতিনিধি দলকে ঢুকতে বাধা দেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, কেন ওড়িশার মহিলা কমিশনকে হাসপাতালে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, ওই সময় রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন। রাজ্যপালের উপস্থিতি থাকা সত্ত্বেও মহিলা কমিশনের সদস্যদের ঢুকতে না দেওয়া নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। মহিলা কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘আমাদের এলাকার মেয়ে, আমাদের রাজ্যের মেয়ের সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটেছে। তাকে দেখতে এসেছি।’

কমিশনের চেয়ারপার্সন শোভনা মোহান্তি বলেন, “নির্যাতিতা বর্তমানে চিকিৎসাধীন। আমি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আবেদন জানাচ্ছি যেন নির্যাতিতা সর্বোত্তম চিকিৎসা সেবা পান। এই ধরনের জঘন্য কাজের জন্য দায়ীদের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করা উচিত।”

নির্যাতিতা তরুণী ওড়িশার জলেশ্বরের বাসিন্দা। রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ১০ অক্টোবর রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ ওই পড়ুয়া সহপাঠীদের সঙ্গে কলেজের বাইরে খেতে বের হন। সেই সময় কয়েকজন যুবক তাঁকে বাধা দিয়ে জোরপূর্বক হাসপাতালের পিছনের একটি জঙ্গলে নিয়ে যান। দুষ্কৃতীদের তাড়া খেয়ে তরুণীর সঙ্গে থাকা বন্ধু পালিয়ে যান। পরে দুষ্কৃতীরা গণধর্ষণের (Durgapur Rape Incident) পর তার মোবাইল ছিনিয়ে নেয়।

Odisha Women's Commission barred from entering hospital to see Durgapur Rape incident victim

আরও পড়ুনঃ ২০২৬ নির্বাচনে বাংলায় কোনও বিজেপি এজেন্ট থাকবে না, হুঙ্কার তৃণমূল সাংসদ জগদীশ বসুনিয়ার

এদিকে সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মন্তব্য করেন, “মেয়েটির নিরাপত্তার দায় তো সেই প্রাইভেট কলেজেরই। রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ কীভাবে মেয়েটি ক্যাম্পাসের বাইরে গেল।” তবে এই মন্তব্যের আগে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ স্পষ্ট করে জানিয়েছিল, নির্যাতিতা ওই রাতেই ক্যাম্পাস থেকে বের হননি। কলেজ কর্তৃপক্ষও বিবৃতি জারি করে জানায়, ছাত্রী ৭টা ৫৮ মিনিটে কলেজ থেকে খেতে বের হয়েছিলেন (Durgapur Rape Incident)।