বাংলাহান্ট ডেস্ক : একরাশ ঘন কালো চুল (Hair) কে না চায়! কিন্তু বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে আমাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা (Lifestyle) আর সেই সঙ্গে সঙ্গে অস্বাস্থ্যকর খাওয়া দাওয়া; সব মিলিয়ে নারী পুরুষ সকলের মধ্যেই চুল পড়ে যাওয়ার সমস্যা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। এদিকে, চুল ঝরে যাওয়া, পাতলা হওয়া নারীদের জন্য যতটা কষ্টকর, পুরুষদের জন্যও ঠিক ততটাই হীনমন্যতার কারণ।
এদিকে পরিবেশের মারাত্মক দূষণের কারণেও পুরুষদের মধ্যেও টাক পড়ে (Bald Out) যাওয়ার প্রবণতা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। এমনকি, নির্দিষ্ট বয়সের আগেই চুল উঠে যাওয়ার সমস্যা নিয়ে মুখ কালো করে বসে আছেন বহু পুরুষ। কিছু কিছু ক্ষেত্রে অবশ্য জিনগত সমস্যাও টাক পড়ে যাওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তবে, যে কারণেই মাথার চুল উঠে যাক না কেন গোটা বিশ্ব এখন পুরুষদের টাকের সমস্যা রোধে বহু গবেষণা শুরু করেছে।
বিজ্ঞানীরা প্রতিনিয়ত মাথা ফাঁকা হয়ে যাওয়ার সমস্যার জন্য একটি সমাধান খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন। কেন এটি ঘটে, এর কারণগুলি কী এবং কীভাবে এটি বন্ধ করা যায়; এই সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই দিবারাত্র মাথার ঘাম পায়ে ফেলছেন গবেষকরা। তবে, আপনি জানলে অবাক হয়ে যাবেন যে, পুরুষদের তর্জনী অনামিকা থেকে ছোট তাদের টাক হওয়ার সম্ভাবনা ছয়গুণ বেশি।
ইতিমধ্যেই, তাইওয়ানের সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে। বিজ্ঞানীরা তাদের গবেষণায় দেখেছেন যে ডান হাতের অনামিকা আঙুলের অতিরিক্ত দৈর্ঘ্য পুরুষদের টাক পড়ার প্রবণতার সাথে সম্পর্কযুক্ত। তাইওয়ানের গবেষকদের মতে, আঙ্গুলের অতিরিক্ত দৈর্ঘ্য যা চুলের ফলিকলগুলিকে সঙ্কুচিত করতে পারে।
তাইওয়ানের কাওশিউং মেডিকেল ইউনিভার্সিটির প্রধান গবেষক ডঃ চিং-ইং উ জানিয়েছেন যে, “গবেষণায় দেখা গেছে যে ডান হাতের চতুর্থ আঙুলের দ্বিতীয় আঙুলের অনুপাত যত কম হবে, টাক হওয়ার ঝুঁকি তত বেশি।” বিজ্ঞানীরা ৩৭ বছরের বেশি বয়সী ২৪০ জন পুরুষের হাত বিশ্লেষণ করে তেমন তথ্য পেয়েছেন বলেও জানা গিয়েছে।