বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সামনেই লোকসভা নির্বাচন (Loksabha Election)। জোর প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সকল দল। ভোটের আগে যেখানে শাসক বনাম বিরোধী দ্বন্দ্ব তুঙ্গে সেখানে উল্টো চিত্র হুগলির বলাগড়ের। তৃণমূল বনাম তৃণমূল কোন্দলে রীতিমতো তুলকালাম। আগেই প্রাণহানির আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন মনোরঞ্জন ব্যাপারী (Monoranjan Byapari)। আর এরই মধ্যে রাতেই বিধায়কের কার্যালয়ে হামলা,ভাঙচুর, তাণ্ডবের অভিযোগ।
দলীয় কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছেন বিধায়ক। ফেসবুক পোস্ট করে জেলার যুবনেত্রী রুনা খাতুনকে (Tmc leader Runa khatun,) ফালাফালা আক্রমণ বিধায়কের। ‘এবার খেলা জমবে’, কলকাতা থেকে বলাগড় ফিরেই পালটা দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন বিধায়ক।
এদিন সমাজমাধ্যমে বিধায়ক লেখেন, “আমি এখন কলকাতায় আছি। খবর পাওয়া গিয়েছে রুনা খাতুন নাকি তার দলবল পাঠিয়ে আমার বিধায়ক কার্যালয় ভাঙচুর করছে। আসছি আমি বলাগড়ে। এবার আমার পালটা দেওয়ার সময়। এবার খেলা জমে যাবে।”
প্রসঙ্গত, বুধবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগরে দেন বলাগড়ের তৃণমূল বিধায়ক। নাম না করে তৃণমূল যুবনেত্রী তথা বলাগড়ের জেলা পরিষদের সদস্য রুনা খাতুনকে ‘ফুলন দেবী’ বলেও কটাক্ষ করেন তিনি। দাবি করেন, রুনা ২০-২৫জন শার্প শুটার নিয়ে ঘুরে বেড়ান। যেকোনও মুহূর্তে রুনা তাঁকে ‘মাটিতে পুঁতে দিতে’। প্রাণনাশের আশঙ্কাও প্রকাশ করেন শাসকদলের বিধায়ক। প্রয়োজনে হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হওয়ারও কথাও লেখেন তিনি।
আরও পড়ুন: ২৪ ঘন্টায় আবহাওয়ার ভোলবদল! একটু পরেই ঝেঁপে বৃষ্টি দক্ষিণবঙ্গের এই ৫ জেলায়: আবহাওয়ার খবর
মনোরঞ্জন ফেসবুকে আরও লেখেন কোনও কারণের তাকে তার নিজের বিধানসভা থেকে দূরে থাকতে হচ্ছে। তিনি লেখেন, ‘‘সেই কদাকার ঘটনাক্রম নিয়ে আগামী ৭ জানুয়ারি রাত ৮টার সময় আমি ফেসবুক লাইভ করতে চলেছি।’’ ওদিকে বিধায়কের আক্রমণের পর আসরে নামে রুনাও। মামলা লড়ার প্রয়োজনে বিধায়ককে আর্থিক সাহায্য করার কথাও জানান তিনি। এই এই উত্তপ্ত আবহেই বিধায়কের কার্যালয়ে তাণ্ডবের ঘটনায় শোরগোল।
অন্যদিকে ভোটের আবহে শাসক-কোন্দলে মুখে হাসি ফুটেছে বিজেপির। তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব যে চরমে পৌঁছেছে তার কারণেই বলাগড় ছেড়ে পালিয়েছেন বিধায়ক। বঞ্চিত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। এলাকা জুড়ে বিজেপির পোস্টার। শুধু তাই নয়, ওই বিধানসভা আসনে উপ নির্বাচনের দাবি তুলেও লিফলেট পড়েছে।