লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে টাকা জোগান নিয়ে চিন্তায় আধিকারিকরা, টানাটানির সরকারে অর্থের অভাব

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ পরিবারের একজন মহিলা শুধু নন, ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প’র (lakhir bhander project) সুবিধা পাবেন পরিবারের বাকি মহিলারাও- সম্প্রতি এমনটাই ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। আর তার জেরেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের প্রাপকের সংখ্যা একলাফে ১ কোটি ৬০ লক্ষ থেকে বেড়ে হয়ে গিয়েছে ২ কোটি ৬০ লক্ষ। যার ফলে এখন কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে আধিকারিকদের।

বিধানসভা নির্বাচনের পূর্বে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন, মহিলাদের স্বনির্ভর করার জন্য চালু করা হবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প। এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন পরিবারের একজন মহিলা, যার নামে রয়েছে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড। তবে এক্ষেত্রে তপশিলি জাতি উপজাতির মহিলারা পাবেন মাসিক ৫০০ টাকা করে এবং সাধারণ ক্যাটাগরির মহিলারা পাবেন প্রতি মাসে ১০০০ টাকা করে। তবে পরিবারের কেউ সরকারী চাকুরীজীবী হলে, তাঁরা এই প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত থাকবেন।

   

vbcbba

মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা মতই, ১৬ ই আগস্ট থেকে শুরু হওয়া দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে পাওয়া যাচ্ছে এই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের ফর্ম। আর ফর্ম পেতেই কাতারে কাতারে মানুষের ভিড় জড়ো হয়েছে দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে। এই ভিড় দেখেই বোঝা যাচ্ছে, এই প্রকল্প ঠিক কতোটা সাড়া ফেলেছে মানুষের মধ্যে।

ইতিমধ্যেই এইকদিনের মধ্যে ৩০ লক্ষ আবেদন জমা পড়ে গিয়েছে। করা হয়েছে ২২ হাজার ক্য়াম্প। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর পরবর্তী ঘোষণা শুনে চিন্তা বেড়ে গিয়েছে আধিকারিকদের। পরিবারের একাধিক মহিলাকে এই প্রকল্পের সুবিধা দিতে হলে, হিসেব করে দেখা গেছে বাজেট বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৭ থেকে ১৮ হাজার কোটি।

তবে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মত এই প্রকল্প চালু রাখতে গিয়ে মাথায় হাত পড়ছে দফতরের আধিকারিকদের। কোথা থেকে আসবে এতো টাকা? তবে বিভিন্ন দফতরের মন্ত্রীদের খরচ কমিয়ে, এই প্রকল্পকে চালু রাখার কথা ভাবা হচ্ছে।

Avatar
Smita Hari

সম্পর্কিত খবর