বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কথায় বলে ভালোবাসা বয়স দেখেনা, দেখে না জাতি ধর্ম, প্রয়োজন শুধু দুটি মনের মিলন। পার্বট্টা ব্লকের দরিয়াপুর পঞ্চায়েতের পাঁচখুট্টি নয়াগাঁও থেকে ভাইরাল হলো এমনই এক ঘটনা। এখানে চার সন্তানের মা মানত্তি দেবীর নতুন বিবাহ নিয়ে রীতিমতো সরগরম হয়ে উঠেছে এলাকা। এমনিতে হয়তো তেমন আলোচনার কিছু ছিল না, কারণ এই ভদ্রমহিলা বিধবা। তার স্বামী মারা গিয়েছেন বেশ কয়েক বছর আগে। তাই নতুন করে জীবন শুরু করতেই পারেন তিনি।
কিন্তু যা রীতিমতো আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে তা হল মহিলার বর্তমান স্বামীর বয়স। তার বর্তমান স্বামী রবি কুমার একজন মাত্র ২১ বছরের যুবক। গত দু’বছর ধরে ওই মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক রবি কুমারের। বাড়ির কাউকে কিছু না জানিয়ে রীতিমত দেখা-সাক্ষাৎ করতেন তারা। এই মুহূর্তে গ্রামে চলছিল বন্যা, সকলেরই মনোযোগ ছিল ফসল বাঁচানোর দিকে। সেই সুযোগেই ফের একবার প্রেমিকের সঙ্গে অভিসার শুরু করেন মানত্তি দেবী৷ রবিবার সন্ধ্যায় রবি কুমারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েই পাড়ার লোকের নজরে পড়ে যান তিনি।
তারপরেই তাদেরকে পাকড়াও করা হয়। ধরার পর গ্রামবাসীরা দরিয়াপুর পঞ্চায়েতের সরপঞ্চ শম্ভু সিংহ এবং জোরাভারপুরা পঞ্চায়েতের সরপঞ্চ পঙ্কজ সাহকে ডেকে পাঠান। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রবি কুমার নামক ওই যুবক জোরাভারপুরা পঞ্চায়েতের শিরোমণি টোলার বাসিন্দা। দুই পঞ্চায়েত প্রধানের বিচার অনুযায়ী শেষ পর্যন্ত সকলের সামনেই তাদের বিবাহ সম্পন্ন হয়। পঞ্চনামা কাগজে সুইসাবুদ করে মানত্তির সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে দেন রবি কুমার।
জানা গিয়েছে মহিলার চার সন্তানের মধ্যে দুই সন্তানকে আপাতত নিজের কাছে রাখবেন তিনি। অন্য দুই সন্তানকে রাখা হবে তাদের ঠাকুমার বাড়িতে। সব মিলিয়ে রীতিমতো সরগরম গোটা এলাকা। রবি কুমার অবশ্য এই নতুন বিবাহ নিয়ে তেমন মুখ খুলতে চাননি।
Made in India