বাংলাহান্ট ডেস্ক : ভারতের ইতিহাস পড়তে বসলে দিল্লি-বোম্বাই-কলকাতার মতো শহরগুলির নাম ফিরে ফিরে আসে। আবার শহর কলকাতা প্রত্যেক বাঙালির কাছেই একটি আবেগের নাম। একটা সময় কলকাতা ছিল বাংলার নবজাগরণের মূল কেন্দ্রস্থল। ব্রিটিশ আমলে ব্রিটিশ ইন্ডিয়ার রাজধানী ছিল এই শহর কলকাতা।
বহু ঘাত-প্রতিঘাতের সাক্ষী আমাদের ‘সিটি অফ জয়।’ তবে ভারতের সবথেকে প্রাচীনতম শহরের নাম আপনি বলতে পারবেন? এই প্রশ্নটা শুনলে অনেকের মাথায় আসবে দিল্লি, বোম্বাই কিংবা কলকাতার নাম। তবে এগুলির মধ্যে একটিও সঠিক উত্তর নয়। ভারতের সবথেকে প্রাচীনতম শহর হল বারাণসী। উত্তরপ্রদেশের লখনউ থেকে ৩২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত বারাণসী।
আরোও পড়ুন : কবে চালু হবে CAA? শান্তনুর পর এবার তারিখই জানিয়ে দিলেন শুভেন্দু, শোরগোল তুঙ্গে
একাধিক ধর্মের মিলনস্থল বারাণসী। জৈন ধর্মের সাতটি পবিত্র শহরের (“সপ্তপুরী”) একটি শহর এই বারাণসী। হিন্দু ধর্মে প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী, বারাণসীতে যদি মৃত্যু হয় তাহলে মোক্ষ লাভ হয়। ভারত তথা পৃথিবীর প্রাচীনতম শহরগুলির একটি গঙ্গার তীরে গড়ে ওঠা এই বারাণসী। ভারতের আধ্যাত্বিক রাজধানী বলা হয়ে থাকে বারাণসীকে।
আরোও পড়ুন : ‘শেখ শাহজাহান কী করেছে?’, সন্দেশখালি ঘটনার ২৪ দিন পর অবশেষে মুখ খুললেন অভিষেক
বারাণসীর প্রধান সাংস্কৃতিক পৃষ্ঠপোষক বলা হয়ে থাকে কাশীর মহারাজাকে (ইনি “কাশী নরেশ” নামে পরিচিত)। গত কয়েক হাজার বছর ধরে উত্তর ভারতের প্রধান সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হল বারাণসী। বহু দার্শনিক, কবি, লেখক ও সংগীতজ্ঞ জন্ম নিয়েছেন ও বাস করেছেন এখানে। গৌতম বুদ্ধ প্রথম বৌদ্ধ ধর্ম প্রচার করেন বারাণসীর কাছে সারনাথে।
তুলসীদাসের রামচরিতমানস সহ একাধিক বিখ্যাত গ্রন্থ রচিত হয় এই শহরে। এশিয়ার প্রাচীনতম আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে অন্যতম একটি বারাণসীর কাশী হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়। “মন্দিরনগরী”, “ভারতের পবিত্র নগরী”, “ভারতের ধর্মীয় রাজধানী”, “আলোকনগরী”, “শিক্ষানগরী” ও “বিশ্বের প্রাচীনতম জীবন্ত নগরী”-ও বলা হয়ে থাকে বারাণসীকে।