বাংলাহান্ট ডেস্কঃ নেপালের প্রবীণ বাম নেতা কেপি শর্মা ওলি ২০১৮ সালে বামজোটের জয়ের প দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হন। তিনি দেশে রাজনৈতিক স্থিরতার আশায় ছিলেন, কিন্তু যথাসম্ভব চেষ্টা করেও তিনি ব্যর্থ। রাজনৈতিক উথাল পাথালের কারণে সফলতার শিখরে ওঠা ওলি একেবারে মুখ থুবড়ে পড়েছেন। নেপালের ক্ষমতাসীন কম্যুনিস্ট পার্টির এই টানাপড়েনের পরে, ডিসেম্বরে সংসদ ভেঙে দেওয়ার জন্য ওলির আশ্চর্য সুপারিশ দেশটিকে আবারও রাজনৈতিক সঙ্কটে নিয়ে যায় এবং দল ভেঙে ফেলা হয়।
ওলি কিশোরবস্থা থেকে বামপন্থী ছাত্র নেতা হিসেবে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হয় আর নেপালের রাজতন্ত্রের বিরোধ করার জন্য ১৪ বছর তাঁকে জেলে কাটাতে হয়। তিনি ২০১৮ সালে বামজোটের প্রার্থী হিসেবে দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হন। সিপিএন (ইউনিফাইড মার্কসবাদী-লেনিনবাদী) এবং পুষ্প কমল দহল ‘প্রচণ্ড’ নেতৃত্বাধীন সিপিএন (মাওবাদী কেন্দ্র) ২০১৭ সালের নির্বাচনে হাউস অফ রিপ্রেজেনটেটিভের সংখ্যাগরিষ্ঠতার সাথে সাতটির মধ্যে ছয়টি প্রদেশ জয়লাভ করেন। দুটি দল আনুষ্ঠানিকভাবে মে ২০১৮ তে একীভূত হয়েছিল।
চীন প্রেমি হিসেবে পরিচিত ৬৯ বছর বয়সী ওলি ১১ অক্টোবর ২০১৫ থেকে ৩ আগস্ট ২০১৬ পর্যন্ত নেপালের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। সেইসময় ভারতের সঙ্গে নেপালের সম্পর্কে ফাটল ধরে। নিজের প্রথম কার্যকালে ওলি ভারতের সমালোচনা করেন এবং তিনি অভিযোগ করেন যে, ভারত নেপালের অভ্যন্তরীণ মামলা নাক গলিয়ে ওনাকে সরকার থেকে বেদখল করতে চাইছে। যদিও, তিনি নিজের দ্বিতীয় কার্যকালে ভারতে সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ার দাবি করেছিলেন।
দ্বিতি কার্যকালে ওলি দাবি করেছিলেন যে, ওনার সরকার দ্বারা দেশের মানচিত্রে রণনইতিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভারতের অংশ লিপুলেখ, কালাপানি আর লিম্পিইয়াধুরাকে নিজেদের অংশ বলে দাবি করার পর থেকেই ওনাকে সরকার থেকে বেদখল করার চেষ্টা হচ্ছে। এরপরই ভারত আর নেপালের সম্পর্কে আরও ফাটল ধরে।
‘ভারত আজ পর্যন্ত অলিম্পিকে সোনা পায়নি …’ ভরা মঞ্চে বেফাঁস মমতা