বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কাশ্মীরের (Jammu Kashmir) শহিদ দিবস ঘিরে নতুন করে উত্তেজনা। রবিবার সকালে আচমকাই শ্রীনগরের শহিদ কবরস্থানে পৌঁছে যান প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা (Omar Abdullah)। ডোগরা শাসক হরি সিংহের বাহিনীর গুলিতে নিহত ২২ জন কাশ্মীরিকে শ্রদ্ধা জানাতেই তাঁর এই পদক্ষেপ। অথচ আগের দিনই ওমর সহ একাধিক নেতাকে গৃহবন্দি করে রেখেছিল পুলিশ।
দেয়াল টপকে শ্রদ্ধা, পতাকা ছিঁড়ে দিল পুলিশ
ওমর জানান, এ দিন কোনও ঘোষণা না করেই তিনি বেরিয়ে পড়েন। নওহাট্টায় গাড়ি থামাতেই পুলিশ বাধা দেয়। তাঁকে ও তাঁর দলকে হেনস্থা করা হয়। এমনকি জাতীয় পতাকাও ছিঁড়ে ফেলার চেষ্টা হয় বলে অভিযোগ। কিন্তু কোনও বাধা না মেনে ওমর পৌঁছে যান মাজার-এ-শুহাদা (Mazaar-e-Shuhada)-য় এবং পাঠ করেন ফাতেহা।
৩৭০ ধারা রদের পর বদল শহিদ দিবসের মর্যাদায়
২০১৯ সালে ৩৭০ অনুচ্ছেদ (Article 370) রদের পর কাশ্মীরে (Jammu Kashmir) অনেক কিছু বদলে যায়। বাদ পড়ে শহিদ দিবসের সরকারি স্বীকৃতি। ছুটি রাখা হয় হরি সিংহের জন্মদিনে, অথচ শহিদদের সম্মানে কোনও দিন পালন হয় না। এই নিয়েই ক্ষোভ বাড়ছে অনেকের মধ্যে। ন্যাশনাল কনফারেন্স (National Conference) চাইছে, ফের যেন ১৩ জুলাই-কে সরকারি ছুটি হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
এই ঘটনার কড়া সমালোচনা করেছেন মেহবুবা মুফতি (Mehbooba Mufti)। তাঁর বক্তব্য, “প্রধানমন্ত্রী বারবার বলছেন, দিলের দূরত্ব কমাতে হবে, অথচ আমাদের শহিদদের স্মরণেও যেতে দিচ্ছে না সরকার।” প্রাক্তন সাংসদ সাজাদ লোন (Sajad Lone) বলেন, “আমাকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। শহিদদের ইতিহাস মুছে ফেলা যায় না।” ভিডিও ফুটেজে ওমরের গাড়ি আটকে দেওয়ার ছবিও ছড়িয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুনঃ ‘শাস্ত্র বিধি লঙ্ঘন, রথের রশিতে পা’, দীঘায় জগন্নাথ মন্দিরের ধ্বজা পুড়তেই বিস্ফোরক শুভেন্দু
মমতার তীব্র প্রতিবাদ, বললেন গণতন্ত্র লজ্জিত
ঘটনার নিন্দা জানিয়ে এক্স-এ পোস্ট করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তিনি লেখেন, “একজন নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রীকে শহিদ কবরস্থানে যেতে না দেওয়া দুঃখজনক এবং গণতন্ত্রবিরোধী।” রাজনৈতিক মহলের মতে, এই ঘটনা কাশ্মীরের (Jammu Kashmir) মানুষের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ।