বাংলা হান্ট ডেস্ক: আন্দোলনের রেশ আরও তীব্র করতে একের পর এক বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এমনিতেই জুনিয়র ডাক্তারদের মিলিত মঞ্চ “ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্ট”-এর তরফে ঘোষণা করা হয় যে, শুক্রবার সন্ধ্যায় ধর্মতলার অনশনমঞ্চ সংলগ্ন অঞ্চলে তাঁদের তরফে সমাবেশ করা হবে। এদিকে, এই ঘোষনার পরেই শুক্রবার দুপুর থেকে ভিড় বাড়তে শুরু করে ধর্মতলা (Dharmatala) চত্বরে।
ধর্মতলা (Dharmatala) চত্বরে জনপ্লাবন:
পাশাপাশি, জুনিয়রদের ডাক্তারদের সমর্থনে পাশে দাঁড়াতে সেখানে উপস্থিত হন সিনিয়র ডাক্তাররাও। এছাড়াও, অগণিত সাধারণ মানুষ যোগদান করেন সেখানে। এদিকে, এই সমাবেশকে আনুষ্ঠানিকভাবে সমর্থন জানিয়ে বামফ্রন্টের তরফে বিবৃতি দিয়ে সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে সেখানে উপস্থিত হতে জানানো হয়।
যদিও, ধর্মতলার (Dharmatala) অনশনমঞ্চ থেকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে চিকিৎসক দেবাশিস হালদার স্পষ্ট জানিয়ে দেন, “আমরা বার বার এটাই বলছি যে, দলীয় স্বার্থ এবং পতাকা দূরে রেখে, যে কোনও মানুষ যোগ দিতে পারেন।” এছাড়াও, এই আন্দোলনকে হাইজ্যাক করা চেষ্টা হচ্ছে বলেও দাবি করেন তিনি।
আরও পড়ুন: খেল খতম! ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের দৌড় থেকে বাদ পড়ল পাকিস্তান
এদিকে, দুপুরে পর থেকেই ধর্মতলায় (Dharmatala) অনশনমঞ্চের সামনে ভিড় বাড়তে শুরু করে। বিকেলের সাথে সাথে আরও বিপুলসংখ্যক মানুষ উপস্থিত হন সেখানে। যার ফলে পুজোর এই মরশুমে ধর্মতলার একাংশ কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। শুধু তাই নয়, অনশনমঞ্চের সামনের রাস্তা অর্থাৎ, ডোরিনা ক্রসিং থেকে কেসি দাস পর্যন্ত রুটে বন্ধ হয়ে যায় গাড়ি চলাচল।
আরও পড়ুন: বিশ্বজুড়ে মায়ের আগমন! সিঙ্গাপুরে মহা সমারোহে চলছে পুজো, কি জানালেন প্রবাসীরা?
সন্ধ্যে নাগাদ প্রতিবাদীরা সমবেত হয়ে গাইতে থাকেন “আগুনের পরশমণি” গানটি। এদিকে, অশনশনরত জুনিয়র ডাক্তার সায়ন্তনী ঘোষ হাজরা জানিয়েছেন, ‘‘আমরা ৯ অগাস্টকে ভুলব না। আমাদের শরীর দুর্বল হলেও আমাদের মনোবল কমেনি। আজ এত মানুষ উপস্থিত হয়েছেন। সকলে মোবাইলের ফ্ল্যাশলাইট জ্বালিয়ে বিচারের দাবি তুলছেন। এই ভিড় আমাদের মনোবল আরও বৃদ্ধি করছে।’’ এর পাশাপাশি জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে সাধারণ মানুষের কাছে আর্থিক সাহায্যের আবেদন জানানো হয়।