৩০০ বছরের পুরনো মন্দির যেখানে দেবদেবীর জায়গায় মাছের পূজো করা হয়

বাংলাহান্ট ডেস্ক : ভারতের(India) এই মন্দিরে তিমি (whale) মৎস দেবীর আরাধনা করা হয়। জানা গেছে জেলেরা সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়ার আগে এই দেবীর কাছে প্রণাম করে যান। এমনকি তারা প্রতিদিন মন্দিরে গিয়েছে এই মৎস দেবীর আরাধনা করেন। আর এই দেবীর মন্দির বহু পুরোনো প্রায় তিনশো বছরের প্রাচীন।

তিমি মাছের মন্দিরের ইতিহাস 

কথায় আছে যে সমস্ত জেলেরা মাছ ধরতে যাওয়ার আগেই মন্দিরে যেতেন না তাদের সাথে কোনো না কোনো খারাপ ঘটনা ঘটতো। এরকম অনেক ঘটনার সাক্ষী আছে এই গ্রামের লোকেরা। আজ থেকে বহু বছরে আগে একজন জেলে স্বপ্নের মধ্যে একটি বিশাল আকৃতির মাছ দেখেন। সেই মাছ সমুদ্রের তটে দেখা গেছিলো। আর সেই মাছের মধ্যে একজন দেবী ছিলেন। কিন্তু এরপরে ওই সমুদ্রের তটে ওই দেবীর মৃত্যু হয়।

IMG 20200508 WA0065

সমুদ্রের তটে দেখা যায় বিশাল এক তিমি মাছ 

এরপর ওই ব্যক্তি পরের দিনে সকালে গ্রামের লক নিয়ে সমুদ্রের তটে যেতেই সেখানে একটি বিশাল আকৃতির মরা মাছের দেহ দেখেন। আসলে ঐটি একটি তিমি মাছের ছিলো। আর তারপরে ওই গ্রামে একটি তিমি মাছের মন্দির প্রতিষ্ঠিত করা হয়। আর সেই রীতি মেনে আজও মন্দিরে পুজো দেওয়া হয়। এমনকি ওই তিমি মাছের দেহ সমুদ্রের তটে পুঁতে দেওয়া হয়। তারপরে সেটির হার নিয়ে মন্দির তৈরী করার ভিতের তলায় রেখে দেওয়া হয়। আর সেখানেই মন্দির গড়ে তোলা হয়।

এরপরেই গড়ে তোলা হয় মাছের মন্দির 

তবে এই মন্দির গড়ে ওঠার পরে অনেকেই এই মন্দিরের বিরোধীতা করেন। আর মন্দিরে যেতে অস্বীকার করেন আর তারপর থেকেই গ্রামের অনেক মানুষ অজানা রোগের শিকার হতে শুরুর করেন। পাশাপাশি অনেকেরই অনেক ক্ষতি হয়ে যায় আর এরপরেই সবাই বুঝতে শুরুর করেন ওই মন্দিরে গিয়ে তিমি মাছের দেবীর পুজো করেন এবং সেই গ্রাম আবার অভিশাপমুক্ত হয়।


সম্পর্কিত খবর