পরপর ৩৬ বার! মেজাজ হারিয়ে অক্ষয়ের উপরে চিৎকার করে ওঠেন শ্রীদেবী, কী এমন করেছিলেন অভিনেতা?

বাংলাহান্ট ডেস্ক : প্রায় সাত বছর হয়ে গেল প্রয়াত হয়েছেন শ্রীদেবী (Sridevi)। কিন্তু সিনেপ্রেমীদের মনে আজও উজ্জ্বল হয়ে রয়েছে তাঁর উপস্থিতি। জন্মসূত্রে দক্ষিণ ভারতীয় হলেও বলিউডেই আধিপত্য কায়েম করেছিলেন তিনি। পেয়েছিলেন প্রথম ‘মহিলা সুপারস্টার’ তকমা। দীর্ঘ ৫০ বছরের অভিনয় কেরিয়ারে বিভিন্ন ভাষার ছবিতে এবং বহু নায়কের সঙ্গে জুটি বেঁধে কাজ করেছেন শ্রীদেবী (Sridevi)। এমনকি পরবর্তী প্রজন্মের অভিনেতা অক্ষয় কুমারের নায়িকাও হয়েছিলেন তিনি!

একটি ছবিতে একসঙ্গে কাজ করেন অক্ষয় শ্রীদেবী (Sridevi)

হ্যাঁ, ঠিকই পড়েছেন। শুধুমাত্র একটি ছবিতেই একসঙ্গে কাজ করেছিলেন শ্রীদেবী (Sridevi) এবং অক্ষয়। ছবিটি ছিল ‘মেরি বিবি কা জবাব নেহি’। শ্রীদেবী তখন খ্যাতির শীর্ষে। অন্যদিকে অক্ষয় সবে মাত্র পা রেখেছেন ইন্ডাস্ট্রিতে। তখনই এই ছবির প্রস্তাব পান তিনি। এই একটি ছবি ইন্ডাস্ট্রিতে অক্ষয়ের গুরুত্ব দ্বিগুণ করে দিয়েছিল। সবটাই ছিল শ্রীদেবীর (Sridevi) ক্যারিশমা। তবে শুটিংয়ের সময় কম কাণ্ড হয়নি।

Once sridevi was angry over akshay kumar

মেজাজ হারিয়ে বসেন অভিনেত্রী: আসলে তখন অক্ষয়কে আর কতজনই বা চিনত! এদিকে বিপরীতে সুপারস্টার, ডিভা শ্রীদেবী (Sridevi)। অক্ষয় ভয়ে, ঘেমেই একসা হতেন। পরিচালক পঙ্কজ পরাশর এক সাক্ষাৎকারে জানান, একদিন নাকি শ্রীদেবী (Sridevi) তাঁর কাছে এসে বেশ বিরক্ত হয়েই বলেছিলেন, ‘ওকে দিয়ে রিহার্সাল করাও। এর মধ্যেই ৩৬ টি টেক দিয়ে ফেলেছে!’

আরো পড়ুন : অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় অভিনয়, রাজেশ খান্নার সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে চরম অস্বস্তিতে পড়েছিলেন শর্মিলা!

পরে তিনিও করেছিলেন প্রশংসা: পরিচালক জানান, সেটা ছিল একটি কোর্টরুম দৃশ্য। সংলাপও অনেক বড় ছিল। সেটা ভেঙে দিলে একজন অভিনেতার আত্মবিশ্বাসও ভেঙে যেতে পারে। তাই তিনি অক্ষয়কে বলেছিলেন, যত সময়ই লাগুক, পুরোটা একবারে করতে। শ্রীদেবী (Sridevi) বসেছিলেন সেখানেই। অবশেষে যখন অক্ষয় সঠিকটা বলতে পারেন, সকলে হাততালি দিয়েছিলেন। এমনকি শ্রীদেবীও নাকি পরে অক্ষয়ের প্রশংসা করেছিলেন।

আরো পড়ুন : পুষ্পা জ্বরে কাবু মুকেশ খান্নাও! ‘শক্তিমান চরিত্রের জন্য…’, আল্লুর প্রশংসায় পঞ্চমুখ অভিনেতা

ওই একটি ছবিতেই একসঙ্গে কাজ করেছিলেন অক্ষয় এবং শ্রীদেবী। ১৯৯৪ সালে শুট হয়েছিল ছবিটার। কিন্তু কিছু কারণ বশত পিছিয়ে যায় ছবির মুক্তি। শেষমেষ দশ বছর পর ২০০৪ এ মুক্তি পেয়েছিল ওই ছবি।

Niranjana Nag
Niranjana Nag

নীরাজনা নাগ, বাংলা হান্টের কনটেন্ট রাইটার। নারুলা ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি থেকে স্নাতক পাশ করার পর সাংবাদিকতার সফর শুরু। বিগত ৫ বছর ধরে সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে যুক্ত।

সম্পর্কিত খবর