দিদার সাথে নাতির বিয়ে! ৪২ বছরের মহিলার গলায় মালা বছর ২২’র যুবকের, চটে লাল এলাকাবাসী

বাংলাহান্ট ডেস্ক : বিয়ে মানেই সাত জন্মের বন্ধন! এবার ৪২ বছর বয়সী দিদাকে বিয়ে করলে ২২ বছরের নাতি। এই ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে বাংলাদেশের (Bangladesh) ভোলার লক্ষীর হালোট এলাকায়। পরিবারের সম্মতিতে সাত লক্ষ টাকা দেনমোহরের বিনিময়ে এই বিয়ে হয়েছে গত ২১শে মে। ২২ বছর বয়সী যুবক মিরাজ আইনত বিয়ে করেন তার বিধবা দিদা সমশোর নাহারকে।

মিরাজের দাদু শাহে আলম বেপারী তিনটি বিয়ে (Marriage) করেন। সমশোর নাহার শাহে আলমের তৃতীয় স্ত্রী। মিরাজ হলেন শাহে আলমের প্রথম স্ত্রীর নাতি। শাহে আলম তার প্রতিটি স্ত্রীকেই আলাদা জমিতে বাড়ি করে দিয়েছেন। শাহে আলমের মৃত্যু হয় প্রায় দেড় বছর আগে। এরপর তিন সন্তানের জননী সমশোর নাহার একা হয়ে পড়েন।

তাদের দেখভাল করতে শুরু করেন মিরাজ। এর ফলে ঘন ঘন মিরাজের আসা যাওয়া লেগে থাকত সমশোর নাহারের বাড়িতে। মিরাজের এভাবে তার দিদার বাড়িতে আসা মোটেও ভালোভাবে নেননি প্রতিবেশীরা। এই বিষয় তারা বহুবার সতর্ক করেন মিরাজকে। এমনকি গ্রামে সালিশি সভাও বসে। তবুও কিছুতে কোনও লাভ হয়নি।

অবশেষে দিদা ও নাতি বিবাহ সূত্রে আবদ্ধ হন গত ২১ শে মে। এই বিয়ে নিয়ে মোটেও খুশি না গ্রামের বাসিন্দারা। এক গ্রামবাসীর বক্তব্য, এই ধরনের বিয়ে বিরূপ প্রভাব ফেলবে গ্রামের বাচ্চাদের মনে। আমরা এই বিয়ে কখনোই মেনে নেব না। আরো এক গ্রামবাসীর কথায়, সমশোর নাহার সুদের ব্যবসা করেন।

নাতি

তার অনেক টাকা দেখেই তাকে বিয়ে করেছেন মিরাজ। যদিও প্রতিবেশী ও গ্রামবাসীদের কথায় পাত্তা দিতে নারাজ এই নব দম্পতি। মিরাজ বলেছেন, আমি ওকে ভালোবাসি। তাই বিয়ে করেছি। অন্যদিকে মিরাজের দিদা তথা বর্তমান স্ত্রী সমশোর নাহার বলেছেন, ভালো লেগেছে তাই বিয়ে করেছি। কারা কী বলল তাতে কিছু আসে যায় না।


Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর