কদিন আগেই সিপিএম ছেড়ে যোগ দেয় তৃণমূল, আর এবার বোমা বাঁধতে গিয়ে হারাল প্রাণ

বাংলাহান্ট ডেস্ক : রাজ্য যে বেআইনি অস্ত্রের কারখানাতে পরিণত হয়েছে তা প্রশাসন অনেক আগেই স্বীকার করেছে। কিছুদিন আগেও বীরভূমে যে পরিমাণ বোমা উদ্ধার হয়েছে তা নিয়ে দু’একটা যুদ্ধও করে ফেলা যাবে। এবার মুর্শিদাবাদ (Murshidabad)। বোমা (Bomb) বাঁধতে গিয়ে প্রাণ গেল এক যুবকের। এবং হাত উড়ল আরও একজনের। সোমবার রাতে মুর্শিদাবাদ জেলার ডোমকল এলাকায় ঘটা এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। কী কারণে বোমা বাঁধা হচ্ছিল, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

কীভাবে হলো বিস্ফোরণ? 

স্থানীয় বাসিন্দাদারা অভিযোগ করেন, ডোমকলের (Domkol) বঘারপুর রমানা গ্রামে একটি পাটের জমিতে বসে কয়েকজন বোমা বাঁধছিল। আচমকাই সেখানে বিস্ফোরণ ঘটে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় এক যুবকের। তার নাম সিরাজুল শেখ (২৭)। তার সঙ্গী নাজমুল শেখের উড়ে গিয়েছে হাত। সে এখন মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় সিরাজুলকেও। তবে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। স্থানীয় সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, সিরাজুল এবং নাজমুল দু’জনই এলাকায় তৃণমূল (TMC) কর্মী হিসেবে পরিচিত। কিছু দিন আগেই নাকি তারা সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেয়। তবে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব তাদের সঙ্গে যোগের কথা সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে।

বিস্ফোরণের ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে পুরো এলাকা জুড়েই। তদন্ত শুরু করেছে ডোমকল থানার পুলিশ। বোমা বাঁধতে গিয়ে একজনের মৃত্যুর কথা স্বীকার করেছে তারা। পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে ঘটনাস্থল থেকে তিনটি তাজা বোমাও উদ্ধার করা হয়েছে।

ওরা কাদের লোক?

সিপিএমের ডোমকল এলাকার কমিটি সভাপতি মুস্তাফিজুর রহমান রানা এই বিষয়ে বলেন, ‘ওই দুজনই আগে সিপিএম (CPM) করত। বিধানসভা ভোটের পরই তৃণমূলে যোগ দেয় তারা। কিন্তু সামনে কোনও নির্বাচন নেই, এলাকায় কোনও অশান্তি আছে বলেও শুনিনি। তাহলে হঠাৎ বোমা কেন বাঁধা হচ্ছিল, তা তদন্ত করে দেখার আবেদন জানাচ্ছি পুলিশকে।’ তবে জানা যাচ্ছে, দু’জনের তৃণমূল কর্মী হওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন এলাকার প্রাক্তন কাউন্সিলর সেলিম রেজা। তিনি বলেন, ‘শুনেছি, বোমা বাঁধতে গিয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। একজন আহতও হয়েছেন। তবে ওরা তৃণমূলের কর্মী কোনও দিনই ছিল না। এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই।’

Sudipto

সম্পর্কিত খবর