একের পর এক ধর্ষণের ঘটনা সামনে আসছে, যা নিয়ে দেশে আক্রোশ উৎপন্ন হয়েছে। প্রথমে কলকাতার কালিঘাটে দুই মেয়ের গণধর্ষণ, এরপর তেলেঙ্গানায় ডঃ প্রিয়াঙ্কা রেড্ডির ধর্ষণ করে হত্যার পর আরো দুটি ঘটনা সামনে এসেছে। যা পুরো দেশকে চিন্তায় ফেলেছে। প্রিয়াঙ্কা রেড্ডির পরে এখন তামিলনাড়ুর কাঞ্চিপুরমে 19 বছর বয়সী এক যৌন লালসার শিকার বানিয়েছে কট্টরপন্থীরা। তামিলনাড়ুর কাঞ্চিপুরমে (Kanchipuram) 19 বছর বয়সী এক মেয়েকে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছে।
মেয়েটির মুখের অবস্থা এমনভাবে নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে যা দেখার জন্যেও অনেক সাহসের প্রয়োজন। খুবই নৃশংসভাবে কিশোরীকে হত্যা করা হয়েছে। এর আগে প্রিয়াঙ্কা রেড্ডিকে ধর্ষণ করে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। প্রিয়াঙ্কা রেড্ডির মামলায় মহম্মদ পাশা ও তার এক সাথী গ্রেফতার হয়েছে।
প্রিয়াঙ্কা রেড্ডির ঘটনায় তেলেঙ্গানার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ইশারায় মূল অভিযুক্ত মহম্মদ পাশা ও তার সাথীকে বাঁচানোর চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ সামনে এসেছে। মহম্মদ পাশা ও তার সাথীকে বাঁচিয়ে তার পরিবর্তে এলাকার ৩ হিন্দু যুবককে ফাঁসানোর ষড়যন্ত্র চলছে বলে অভিযোগ তুলেছেন এক সাংবাদিক।
অন্যদিকে কাঞ্চিপুরমের মামলায় এখনও অবধি কেউ গ্রেফতার হয়নি। আরো একটা ঘটনা সামনে এসেছে সেটাও হায়দ্রাবাদের শামসাবাদের। অর্থাৎ প্রিয়াঙ্কা রেড্ডির ঘটনা যে এরিয়ায় ঘটেছে ওই একই অঞ্চলে আরো একটা ধর্ষণের ঘটনা ঘটিত হয়েছে। সেখানে ৩০-৩৫ বছরের এক মহিলাকে গণধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছে।
অর্থাৎ শহর ও স্থান বদলালেও ঘটনা এক জাতীয় এবং সুনিয়োজিতভাবে পরিকল্পিত। একের পর এক ধর্ষণের ঘটনাগুলির পেছনে কট্টরপন্থীদের বড়ো কোনো ষড়যন্ত্র রয়েছে কিনা তা নিয়েও প্রশ্নঃ উঠেছে। বিষয়গুলি নিয়ে বড়ো স্তরের তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে বলেও মনে করছেন অনেকে।