বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আপনি নিশ্চয়ই শুনেছেন টাকায় টাকা বাড়ে, পুরনো এই প্রবাদ কিন্তু অন্যভাবে সত্যিও হতে পারে। এমনকি আপনার জন্য গুপ্তধন হয়ে উঠতে পারে একটি পুরনো এক টাকার নোটও। শুনতে অবিশ্বাস্য মনে হলেও, একটি পুরনো নোট বা কয়েনই আপনাকে পাইয়ে দিতে পারে লক্ষাধিক টাকার কাছাকাছি। আজ আপনাকে জানাবো এমনই এক পুরনো একটাকার নোটের কথা। আসুন জেনে নিই কি বিশেষত্ব রয়েছে এই পুরোনো নোটটিতে?
১৯৫৭ সালে ছাপা এ পুরনো নোটের বাজারমূল্য বর্তমানে প্রায় ৪৫ হাজার টাকা। আপনি নিশ্চয়ই ভাবছেন কি কারনে নোটের দাম এত বেশি? তাহলে আপনাকে জানাই নোটটিতে অবশ্যই থাকতে হবে গভর্নর এইচ এম প্যাটেলের স্বাক্ষর। শুধু তাই নয় সিরিয়াল নম্বর হতে হবে ১২৩৪৫৬। আর এই দুটি মিলে গেলেই আপনি পেতে পারেন প্রায় ৪৫ হাজার টাকা। দেশ-বিদেশের বহু সংগ্রহকই ভালবাসেন পুরনো জিনিস জমাতে। আর তাদের মধ্যেই অনেকে রয়েছেন যাদের সব পুরনো নোট বা কয়েন কালেক্ট করা। আর তাদের কাছেই রীতিমতো গুপ্তধন হয়ে উঠতে পারে এধরনের দুর্মূল্য নোট।
আপনি নিশ্চয়ই ভাবছেন, সংগ্রহ তো হল কিন্তু বিক্রি করবেন কোথায়? তাহলে আপনাকে জানাই আগের তুলনায় বিক্রির বিষয়টি এখন অনেকটাই সহজ। অনলাইনে ওএলএক্স কিংবা ইন্ডিয়ামার্টে একটি একাউন্ট খুলে নোট কিংবা কয়েনের ছবি আপলোড করলেই তা পৌঁছে যেতে পারে সংগ্রাহকদের কাছে। শুধু তাই নয় বিভিন্ন অনলাইন নিলাম ওয়েবসাইট থেকেও তবে সঙ্গে দরদাম করতে পারবেন আপনি। এ ধরনের বহু কয়েন কালেকশন রীতিমতো উৎসাহের সঙ্গে সংগ্রহ করেন দেশ বিদেশের অ্যান্টিক সংগ্রাহকরা। ভারতে বিক্রি হওয়া সবচেয়ে দুর্মূল্য কয়েনের দাম ছিল প্রায় দশ লক্ষ টাকা। ১৮১৮ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির তৈরি এই কয়েনে ছাপা ছিল সম্রাট হুমায়ুনের মুখ।
তবে অত পুরনো না হলেও সাধারণ একটি ২৫ পয়সার জন্যও আপনি পেতে পারেন প্রায় দেড় লক্ষ টাকা। এই পঁচিশ পয়সাটির বিশেষত্ব হলো এটি দেখতে অনেকটা রুপার কয়েনের মত। এ ধরনের পুরনো কয়েনের জন্য রীতিমতো প্রাণপাত করতে রাজি সংগ্রাহকরা। আপনি হয়তো শুনেছেন পুরনো চাল ভাতে বাড়ে তবে এক্ষেত্রে পুরনো কয়েনও আপনাকে করে দিতে পারে লাখপতি।