দিনটি ছিল বৃহস্পতিবার, তারিখ 14 ফেব্রুয়ারী 2019 অর্থাৎ ভ্যালেন্টাইন্স ডে এবং সময় বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে। জম্মু-শ্রীনগর জাতীয় মহাসড়কের প্রায় ২৫০০ কর্মী নিয়ে 78৮ টি বাসে সিআরপিএফের কাফেলাটি যাচ্ছিল। ঠিক সাধারণ দিনের মতোই, সিআরপিএফ যানবাহনের কনভয়টি সেদিন চলেছিল। তবে জম্মু-কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে কনভয়টিতে কর্মরত সমস্ত নিরাপত্তাকর্মী সতর্ক ছিলেন। সেদিন রাস্তায় চলাচল স্বাভাবিক ছিল। যখন সিআরপিএফের কাফেলা পুলওয়ামায় পৌঁছেছিল, রাস্তার বিপরীত দিক থেকে আসা একটি গাড়ি CRPF দের কাফেলার সাথে চলমান গাড়িতে ধাক্কা মারে।
সামনে থেকে আসা এসইউভিটি কনফয়টির সাথে সংঘর্ষের সাথে সাথে বিস্ফোরণ ঘটে। সিআরপিএফ জওয়ানরা কিছু বুঝে উঠার আগেই এমনকিছু ঘটে যায় যা ভারতের কালো দিনে পরিণত হয়। বিস্ফোরণের পরেও আতঙ্কবাদীরা গুলি চালাতে শুরু করে, ততক্ষনে CRPF ও পাল্টা গুলি চালায়। CRPF এর পাল্টা আক্রমন দেখে আতঙ্কবাদীরা পলায়ন করে।
বিস্ফোরনবাহী গাড়ির সাথে CRPF এর সংঘর্ষ এতটাই জোরদার হয়েছিল যে ৪০ জন জওয়ান বলিদান হন। ওই দিন দেশের জওয়ানদের রক্ত মাংস সড়কজুড়ে ছড়িয়ে ছিল। যা সমস্থভারতবাসীকে কাঁদতে বাধ্য করেছিল। বহু সেনা আহত অবস্থাতেও ছিলেন যাদেরকে সাথে সাথে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। ১৪ ফেব্রুয়ারি দিন যা আগে পাশ্চাত্য সংস্কৃতি অনুকরণ করে ভালোবাসার দিবস হিসেব পালিত হতো তা ভারতীয়দের কাছে অন্ধকারময় কান্নার দিনে পরিণত হয়।
পুলওয়ামা হামলার মাত্র ১২ দিন পরে, ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ভারতীয় বিমানবাহিনী পাকিস্তানের বালাকোটে সন্ত্রাসী সংগঠন জাইশ-ই-মোহাম্মদ এর ঘাঁটিগুলিতে বিমান হামলা (এয়ার স্ট্রাইক) চালায়। এই বিমান হামলায় ভারতীয় বিমানবাহিনী ব্যাপক হারে বোমা বিস্ফোরণ করে যে এর সন্ত্রাসীদের আস্তানা পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যায় এবং প্রায় 300 জন সন্ত্রাসীকে উড়িয়ে দেওয়া হয়।