বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রক্তাক্ত ত্রিপুরা (Tripura)! সেরাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের (Assembly Election) দিন ঘোষণা হওয়ার মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যেই শুরু রাজনৈতিক সংঘর্ষ (Political Clash)। শাসক-বিরোধী দ্বন্দে উত্তপ্ত ত্রিপুরার প্রতিটা কোনা। বিভিন্ন জায়গা থেকে একের পর এক হামলার ঘটনা উঠে আসছে। একদিকে শাসকদল বিজেপির (BJP) বিরুদ্ধে অভিযোগে সরব লাল বাহিনী, অন্যদিকে বিরোধী দল সিপিএমের (CPIM) বিরুদ্ধেও পাল্টা অভিযোগ তুলছে গেরুয়া শিবির। এই পরিস্থিতিতে ভোটানুষ্ঠান শান্তিপূর্ণ হবে কিনা সেটাই এখন সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ নির্বাচন কমিশনের কাছে।
নির্বাচন কমিশন (Election Commission) সূত্রে খবর, ত্রিপুরায় শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের লক্ষ্যে পঞ্চাশ এরও বেশি পর্যবেক্ষকের জাম্বো টিম উপস্থিত থাকবে। রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকবে এই পর্যবেক্ষক দল। একই সঙ্গে রাজ্য পুলিশ প্রশাসনের উপরও কড়া নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। কমিশনের সংযোজন, কোনওরকম হিংসাত্মক ঘটনা ঘটলে তার জন্য জবাবদিহি করতে হবে সশ্লিষ্ট এলাকার পুলিশ অফিসারদের ।
হামলা, কুপিয়ে খুন, গুলি করে খুনের চেষ্টা, কার্যালয়ে আগুন, দলীয় কার্যাল ভাঙচুরের মত একাধিক ঘটনায় নির্বাচন নিয়ে যথেষ্টই উদ্বিগ্ন রাজ্যের সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে নির্বাচন কমিশন। এরই মধ্যে ক্রমাগত সংঘর্ষের ঘটনায় শুরু হয়েছে শাসক বিরোধী তরজা। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ জানান, এমন ঘটনা বাঞ্ছনীয় নয়। অন্যদিকে, বিরোধী দল সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক জীতেন্দ্র চৌধুরীর দাবি, ‘ভোট সন্ত্রাসে বারবার অভিযুক্ত শাসকদল নিজেই যখন সন্ত্রাসের অভিযোগ আনছে তখন বু়ঝতে হবে তাদের ভিত নড়বড়ে।’
একদিকে রাজধানী আগরতলায় বিজেপির একটি নির্বাচনী কার্যালয় পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সিপিএম ও কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, প্রধানমন্ত্রীর মুখ দেওয়া পোস্টারে চুনকালি মাখানো হয়েছে বলেও অভিযোগ তুলেছে গেরুয়া বাহিনী। শুধু আগরতলাই নয় রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে উঠে এসেছে এই একই ছবি। অন্যদিকে, ভোট ঘোষণার পরই কুপিয়ে খুন করা হয় টিপ্রা মথার সমর্থক প্রণজিত নম:শূদ্রকে। ঘটনায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছে বেশ কয়েকজন বিজেপি সমর্থক। সবমিলিয়ে রাজনৈতিক হিংসায় ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে ত্রিপুরার মাটি। এই আবহে নির্বাচন পক্রিয়া কতটা শান্তিপূর্ণ হয় সেই উঁকি দিচ্ছে সকলের মনে।