বাংলাহান্ট– পেঁয়াজ-এর দাম মধ্যবিত্তের নাগাল ছাড়া হয়ে গিয়েছিল আগেই, সরকারী সহায়তায় পেঁয়াজের ওপর ভর্তুকিকে বাদ দিলে পেঁয়াজ এখনো মধ্যবিত্তের সাধ্যের বাইরেই। একই সাথে পাল্লা দিয়ে কয়েকদিন ধরে বাড়ছে আলুর দামও। পিছিয়ে নেই অন্যান্য সব্জিও। মূল্যবৃদ্ধির এই চরম বিপাকে যখন হেঁশেলে টান পড়েছে সাধারন মানুষের, তখন অস্বস্তি বাড়িয়ে দিতে চলেছে চিনিও।
কেন্দ্রীয় উপভোক্তা বিষয়ক দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে এবছর ৮.৫ লক্ষ মেট্রিক খোলা বাজারে বিক্রি করা হবে ৷ যদিও সম্প্রতি পাওয়া খবর অনুযায়ী গতবছরের তুলনায় ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত চিনির উৎপাদন উল্লেখযোগ্য পরিমাণ কমেছে। ৩৫ শতাংশ উৎপাদন কমে ৪৮.৮ লক্ষ টনে দাঁড়িয়েছে চিনির উৎপাদন ৷ মহারাষ্ট্র ও কর্নাটকে চিনির উৎপাদন কম হওয়াতেই এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে ৷ সেপ্টেম্বরে চিনির উৎপাদন ছিল ৭০.৫ লক্ষ টন ৷ ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯ পর্যন্ত ৪০৬ টি বেসরকারি মিলে চিনির উৎপাদন হয়েছে৷ আগের মাস গুলিতে সেখানে ৪৭৩ মিলে চিনির আখ পেষাই করা হয়েছিল।
পাশাপাশি আখ পেষাইয়ের পরিমাণ গুজরাত ১.৫২ লক্ষ টন, বিহারে ১.৩৫ লক্ষ টন, পাঞ্জাবে ৭৫ হাজার, তামিলনাড়ুতে ৭৩ হাজার টন, হরিয়ানাতে ৬৫ হাজার টন, মধ্যপ্রদেশে ৩৫ হাজার টন, তেলঙ্গানা ও অন্ধ্রপ্রদেশে ৩০ হাজার টন চিনির উৎপাদন হয়েছে ৷ ৷ ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে চিনির উৎপাদন ২১.৫ শতাংশ থেকে কমে ২.৬ কোটি টন হতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে ৷ যার জেরে বেশ খানিকটা বেড়ে যাবে চিনির দাম।