বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আর্থিক অনটনের জেরে অনেকেই মাঝপথে পড়াশোনা ছেড়ে দেন। স্কুল যাওয়া ছেড়ে কাজকর্ম শুরু করে বহু শিশু। এই অবস্থায় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে সরকার। চালু করেছে নানান স্কলারশিপ। এমনই একটি বৃত্তি হল ঐক্যশ্রী স্কলারশিপ (Aikyashree Scholarship)। ইতিমধ্যেই এই স্কলারশিপে (Scholarship) আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এর মূল উদ্দেশ্য হল স্কুল ছুটের সংখ্যা কমানো ও পড়ুয়াদের উচ্চশিক্ষার জন্য উৎসাহ প্রদান করা।
ঐক্যশ্রী স্কলারশিপে (Aikyashree Scholarship) আবেদন কতদিন চলবে?
গত ২৫ জুন থেকে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের জন্য আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আগামী ৩১ আগস্ট অবধি ইচ্ছুক পড়ুয়ারা আবেদন জানাতে পারবেন। এক্ষেত্রে বলে রাখি, রাজ্যের নির্দিষ্ট সংখ্যক কিছু ছাত্রছাত্রী এই বৃত্তি পাওয়ার যোগ্য।
ঐক্যশ্রী স্কলারশিপ পরিচালনা করে পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও অর্থ নিগম। এটি বাংলার সংখ্যালঘু সম্প্রদায় তথা মুসলিম, খ্রিস্টান, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি সম্প্রদায়ের মেধাবী পড়ুয়াদের জন্য একটি দুর্দান্ত উদ্যোগ। তবে এই বৃত্তি পেতে গেলে আবেদনকারী পড়ুয়াদের (School Students) বেশ কিছু শর্ত মানতে হয়।
আরও পড়ুনঃ ‘ওই কলেজে গিয়ে…’! ছেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, মুখ খুললেন কসবা কাণ্ডে মূল অভিযুক্তের বাবা
আবেদনকারী শিক্ষার্থীকে পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে। আবেদনকারীকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের হতে হবে এবং তাঁর পরিবারের বার্ষিক আয় ২ লক্ষের বেশি হলে চলবে না।
রাজ্য সরকারের (Government of West Bengal) এই বৃত্তি মূলত দুই ধরণের। প্রথমত, প্রি-ম্যাট্রিক স্কলারশিপ, যা দ্বিতীয় থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য ও দ্বিতীয়ত, পোস্ট ম্যাট্রিক স্কলারশিপ, যা একাদশ শ্রেণি থেকে শুরু করে কলেজ স্তরের পড়ুয়াদের জন্য।
এটিও আবার ঐক্যশ্রী স্কলারশিপ ও ঐক্যশ্রী স্বামী বিবেকানন্দ মেরিট কাম মিনস স্কলারশিপে বিভক্ত। এর মধ্যে প্রথমটি যারা ৬০ শতাংশের কম নম্বর পেয়েছে ও দ্বিতীয়টি যারা ৬০% অথবা তার বেশি নম্বর পেয়েছে তাঁদের জন্য।
উল্লেখ্য, বাংলার ছাত্রছাত্রীদের সুবিধার্থে একাধিক প্রকল্প চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এর মধ্যে অন্যতম হল ঐক্যশ্রী প্রকল্প (Aikyashree Scholarship)। এর ফলে রাজ্যের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বহু মেধাবী পড়ুয়া উপকৃত হয়েছেন। বর্তমানে এই বৃত্তির জন্য আবেদন প্রক্রিয়া চলছে। আগামী ৩১ আগস্ট অবধি চলবে।