2011 সালে মহেন্দ্র সিং ধোনির অধিনায়কত্বে যখন ভারত ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিতেছিল সেই সময় ভারতের জয়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন ভারতীয় দলের বাঁহাতি অলরাউন্ডার যুবরাজ সিং। ব্যাট এবং বল হাতে দুটি বিভাগেই তিনি ঝড় তুলেছিলেন সেই বিশ্বকাপে। কিন্তু সেই যুবিকেই ভারতীয় দলে নেওয়ার সময় বারবার দ্বন্ধ শুরু হয়ে যায়। কারণ সেই সময় ভারতীয় দলের অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি চাইতেন তার পছন্দের ক্রিকেটার দলে থাকুক। সেই কারণে ধোনি বারবার দলে নিতেন সুরেশ রায়নাকে এবং ভালো পারফরম্যান্স করার সত্ত্বেও ভারতীয় দল থেকে বাদ পড়তে হয়েছে 2011 বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক যুবরাজ সিংকে।
এইদিন যুবরাজ সিং বলেন প্রত্যেক অধিনায়কের কয়েক জন প্রিয় ক্রিকেটার থাকেন, তেমনি ধোনির প্রিয় ক্রিকেটার ছিলেন সুরেশ রায়না। সেই সময় রায়নাকে খুবই সমর্থন করতেন ধোনি। সেই কারণে ভারতীয় দল থেকে বারবার বাদ পড়তে হয়েছে আমাকে এবং ইউসুফ পাঠান কে। যুবরাজ সিং বলেন সেই সময় ভারতীয় দলে ইউসুফ পাঠানও ভালো পারফরম্যান্স করছিলেন কিন্তু ধোনির প্রিয় ক্রিকেটার না হওয়ার জন্য তাকেও দল থেকে বাদ পড়তে হয়েছে। সেই সাথে বিশ্বকাপে যুবরাজ সিংয়ের সুযোগ পাওয়া নিয়ে যুবি বলেন বিশ্বকাপের ঠিক আগে আমি দুর্দান্ত ছন্দে ছিলাম, আমার ব্যাট থেকে যেমন রান আসছিল তেমনই বল হাতে উইকেট নিচ্ছিলাম এবং বাঁহাতি স্পিনার বলতে দলে শুধুমাত্র আমি ছিলাম। সেই কারণে আমাকে বাদ দেওয়ার কোন উপায় না পেয়ে বাধ্য হয়ে আমাকে দলে নিয়েছিল ধোনি।
এছাড়া ওইদিন যুবির মুখে শোনা যায় সৌরভ গাঙ্গুলীর খুবই প্রশংসা, তিনি জানিয়েছেন সৌরভ গাঙ্গুলী ভারতের একমাত্র অধিনায়ক যিনি সবসময় তরুণ ক্রিকেটারদের পাশে দাঁড়ান। সৌরভ গাঙ্গুলী জানতেন কেমন করে একজন তরুণ ক্রিকেটারকে স্টার করে তুলতে হয়। যুবি জানিয়েছেন আমাকে সব থেকে বেশি সমর্থন করেছিলেন এবং সাহস যুগিয়েছিলেন দাদা।