বাংলাহান্ট ডেস্ক : ডেঙ্গু (Dengue) নির্মূল করতে উদ্যোগ নিচ্ছে না কলকাতা পুরসভা। এই অভিযোগ তুলে বৃহস্পতিবার পথে নেমে প্রতিবাদ জানায় বিজেপির (BJP) যুব-মোর্চার কর্মী, সমর্থকরা। সেই সময়ই পুলিসের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়ালেন তাঁরা। এদিন তাঁদের পুরসভা অভিযান ছিল। রাজ্য বিজেপির সদর দফতর মুরলিধর সেন লেনের কার্যালয় থেকে পুরসভা (Kolkata Municipal Corporation)পর্যন্ত মিছিলে শামিল হন অগ্নিমিত্রা পল, সজল ঘোষ, মীনাদেবী পুরোহিত-সহ একাধিক নেতা,কর্মী। মিছিল সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ ধরে পুরসভার দিকে এগোতেই পুলিস আটকায় তাদের। ব্যারিকেড দিয়ে ঘেরা ছিল সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। পুলিসের সঙ্গে বিজেপি সমর্থকদের ধস্তাধস্তি শুরু হয়। জোর করে ব্যারিকেড, গার্ডরেল সরিয়ে দেয় গেরুয়া ব্রিগেডের যুব কর্মীরা। রাস্তায় বসেই ধর্না শুরু করেন অগ্নিমিত্রা পল (Agnimitra Paul), সজল ঘোষরা। পরিস্থিতি হাতের বাইরে যাচ্ছে দেখে পুলিস সঙ্গে সঙ্গে কয়েকজনকে আটক করে প্রিজন ভ্যানে তুলে নিয়ে যায়। আটক করা হয় অগ্নিমিত্রা পাল, মীনাদেবী পুরোহিতকেও।
জানা যাচ্ছে, দুপুর ১টা নাগাদ জমায়েত করেন তাঁরা। এরপর হাতে ডেঙ্গু সচেতনতার পোস্টার এবং তাতে কলকাতা পুরসভার গাফিলতির অভিযোগে স্লোগান লিখে মিছিল শুরু করে রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। মিছিলে সামনের সারিতে ছিলেন যুব মোর্চার বর্তমান রাজ্য সম্পাদক অগ্নিমিত্রা পল, ছিলেন কাউন্সিলর সজল ঘোষ, মীনাদেবী পুরোহিত। তাঁদের দাবি করোনার মতো এই মুহূর্তে ডেঙ্গুও ঘরে ঘরে হচ্ছে। সময়ে সময়ে তা ভয়াবহ আকারও নিচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে পুরসভার উচিত, রোজকার মতো তথ্য প্রকাশ করা। যাতে মানুষ সচেতন হতে পারেন। পুরসভার বিরুদ্ধে ‘ধিক্কার’ স্লোগানও দিতে থাকেন তাঁরা।
অগ্নিমিত্রা পলের অভিযোগ করে বলেন, ‘কয়েক মাসের মধ্যে ডেঙ্গি যেভাবে বেড়েছে, তাতে রাজ্য সরকার উদাসীন। বহু মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন, কলকাতাতেই প্রায় ৫০ জন মারা গিয়েছে। কোভিডের সময় যে ভাবে রাজ্য সরকার তথ্য লুকিয়েছিল, এবারও তাই করছে। কত জন আক্রান্ত হয়েছেন, কত জন মারা গিয়েছেন, কেউ জানে না। এভাবে জনগণকে অন্ধকারে রাখা যাবে না। সবাই সব জানতে চায়।’
বিজেপি যুব মোর্চা নেতৃত্ব এদিন ডেঙ্গু বিরোধী অভিযানে নেমে মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে স্মারকলিপি জমা দেওয়ার কর্মসূচি ছিল। মুরলিধর সেন লেনের কার্যালয় থেকে পুরসভা দফতর পর্যন্ত মিছিল করে গিয়ে স্মারকলিপি জমা দিতেন তাঁরা। কিন্তু অভিযানের মাঝপথেই এত জনকে পুলিস আটক করায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। উত্তেজনার পারদ চড়ল। বিজেপির মিছিল ঘিরে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ে সাময়িক যানজট তৈরি হয়। পরে তা স্বাভাবিক করে দেয় প্রশাসন।