বাংলা হান্ট ডেস্ক : শিয়রে লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha Election)। আর সেই নির্বাচনকে পাখির চোখ করে এগিয়ে চলেছে প্রতিটি রাজনৈতিক দল। প্রধানমন্ত্রীও (Narendra Modi) তার রাজ্য সফর শুরু করে দিয়েছেন। বাংলায় লোকসভা নির্বাচনের ভোটপ্রচারে বিজেপি প্রথমেই বেছে নিয়েছে আরামবাগ এবং কৃষ্ণনগরকে। গত নির্বাচনে হেরে যাওয়া এই দুই আসনকে পাখির চোখ করে এগিয়ে চলেছে পদ্ম শিবির।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এককালে এই আরামবাগ আসনে ছিল বামেদের রমরমা। তবে বিগত এক দশকে সেই আসনে ঘাঁটি গেড়েছে তৃণমূল। এদিকে গত দেড় দশক ধরে কৃষ্ণনগরও রয়েছে তৃণমূলের দখলে। এখন মোদী ম্যাজিকের দৌলতে কি এই দুই আসন জিততে পারবে বিজেপি?
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার বাংলা সফরে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এইদিন তিনি নির্বাচনী সভা করেন আরামবাগে। এখানে বলে রাখা ভালো যে, এই আসনটি তফশিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত। এখান থেকেই রাজ্যের শাসক দলকে একটার পর একটা তোপ দাগেন নমো। উঠে আসে সন্দেশখালির কথাও।
আরও পড়ুন : কাঁটার মত বিঁধছে সন্দেশখালি! বসিরহাট হারাবে তৃণমূল? সমীক্ষায় বড় তথ্য
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আরামবাগ আসনের মধ্যে রয়েছে হুগলির ৬টি এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের একটি বিধানসভা আসন। গত নির্বাচনে খুব অল্প ব্যবধানে আরামবাগ হারিয়েছিল বিজেপি। তবে আসন্ন নির্বাচনে আরামবাগ নিয়ে যথেষ্ট আশাবাদী গেরুয়া শিবির। ইন্ডিয়া টুডের জনমত সমীক্ষাও বলছে, আরামবাগে বিজেপির জনপ্রিয়তা অনেকটাই বেড়েছে।
আরামবাগের পর বিজেপির নজর এবার কৃষ্ণনগর। আজকেই কৃষ্ণনগরের মতুয়া অধ্যুষিত এলাকায় জনসভা করবেন প্রধানমন্ত্রী। উল্লেখ্য, এতদিন এই আসনটিতে রাজ করছেন বহিষ্কৃত তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। ফের তিনিই এখান থেকে প্রার্থী দাঁড়াবেন কী না তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে গত ২০০৯ থেকে এই আসনটি ছিল তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি। প্রথমে তাপস পাল এবং তারপর মহুয়া মৈত্র, এই আসন থেকে একচেটিয়াভাবে জিতে এসেছে তৃণমূল।
আরও পড়ুন : ৬০ কোটির গাড়ি, নোটের পাহাড়! আয়কর বিভাগের তল্লাশিতে মিলল কুবেরের ধন! হুলস্থূল কাণ্ড শহরে
তৃণমূলের আগে এই আসনটি ছিল বামেদের দখলে। তবে মাঝে একবার ট্রেন্ড ভেঙেছিল বিজেপি। ১৯৯৯ পারে বিজেপির সত্যব্রত মুখোপাধ্যায় জয়ী হয়েছিলেন এই আসনে। যদিও খুব বেশিদিন তা গেরুয়ার দখলে থাকেনি। ২০০৪ সালে ফের একবার জয় হাসিল করে সিপিএম। এবার যদি মোদী ম্যাজিকের দৌলতে ফের একবার বিজেপি জয়লাভ করে তাহলে তা ফের এক নয়া রেকর্ড হবে।