বাংলা হান্ট ডেস্ক : ৫০০ বছর পুরনো জমি বিতর্কের অবসান হতেই খুশির হাওয়া গোটা দেশজুড়ে। সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চের রায়ে মন্দির পেয়েছে অযোধ্যা (Ayodhya)। তবে এই ঘটনায় খুব একটা খুশি হতে পারছেনা আমাদের পড়শি দেশটি। জম্মু-কাশ্মীর ইস্যুতে বিশেষ সুবিধা করতে না পেরে এবার ধর্মের কার্ড খেলছে সন্ত্রাসবাদের চারণভূমি পাকিস্তান (Pakistan)।
গত বছরের শেষ অবধি যে দেশটি একটু আটার জন্য হন্যে হয়ে ছুটছিল আজ সেই দেশটিই ধর্মীয় সহিষ্ণুতার ধ্বজাধারী হিসেবে নিজেকে জাহির করতে মরিয়া। আর তাই এবার রাম মন্দির ইস্যুতে রাষ্ট্রসংঘের (United Nation) দরবারে পৌঁছালো পাকিস্তান। ভারতের কড়া নিন্দা করে ইসলামাবাদ দাবি তোলে, রাম মন্দির আঞ্চলিক শান্তি বজায় রাখা সম্ভব হবেনা।
এইদিন রাম মন্দির উদ্বোধন নিয়ে মোদী সরকারের সক্রিয়তাকে ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ নীতির পরিপন্থী বলে মনে করছে পাক সরকার। একই সাথে এই মন্দির উদ্বোধনকে হিন্দু জাতীয়তাবাদী রাজনীতির বিজয় হিসেবে প্রচার করতে চাইছে ইসলামাবাদ। এমনকি ভারতের সংখ্যালঘুদের উন্নয়ন নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে মৌলবাদের দেশটি।
আরও পড়ুন : ‘কারও কাছে কখনও কিছু চাইনি’, ‘পদ্মভূষণ’ পেয়ে আপ্লুত মিঠুন চক্রবর্তী, আবেঘন বার্তা মহাগুরুর
রাষ্ট্রসংঘের সভ্যতা বিষয়ক দপ্তরের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল মিগুয়েল অ্যাঞ্জেল মার্টিনসের দফতরে একটি চিঠি পাঠায় পাকিস্তানের স্থায়ী প্রতিনিধি মুনির আকরম। সেই চিঠিতে ভারতের বেশ কড়া নিন্দা করে তিনি লেখেন, ‘পাকিস্তান রামমন্দির নির্মাণ ও প্রাণপ্রতিষ্ঠার কড়া নিন্দা জানায়। অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ধবংস করে এই মন্দির তৈরি করা হয়েছে। এই মন্দির ভারতে আঞ্চলিক সম্প্রীতি ও শান্তি বজার রাখার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াবে।’
আরও পড়ুন : ভগ্ন গণেশ, হনুমানের মূর্তি থেকে শিবলিঙ্গ! জ্ঞানবাপীর নীচ থেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ জোগাড় করল ASI
এখানেই থেমে না থেকে ক্রমাগত অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা করে চলেছে পাক মিডিয়া। বিশ্ব দরবারে ভারতের ভাবমূর্তি নষ্ট করার কোনও চেষ্টার খামতি রাখেনি পাক সরকার। বাবরি মসজিদের পর বারাণসীর জ্ঞানবাপী এবং মথুরার শাহি ইদগাহ মসজিদ নিয়েও উস্কানিমূলক মন্তব্য করেছে পড়শি দেশটি। যদিও সেই দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিপিড়ন নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ তারা। পাক মাটিতে ক্রমাগত হিন্দু মহিলাদের অপহরণ করে জোরপূর্বক ধর্ম পরিবর্তনের ঘটনা ঘটেছে। নিরাপদ নয় খ্রিষ্টানরাও। যে কারণে ভারতের বিষয়ে পাকিস্তানের নাক গলানোকে খুব একটা পছন্দ করছেনা আন্তর্জাতিক মিডিয়া।