শাহজাহানকে হিন্দু বানানোর প্রচেষ্টা? ‘ফেরার’ নেতার হলফনামা পেশ করে চাঞ্চল্যকর দাবি ইডির

বাংলা হান্ট ডেস্ক : গত প্রায় ৫০ দিন ধরে দফায় দফায় উত্তপ্ত সন্দেশখালির (Sandeshkhali) গ্রামের পর গ্রাম। শাসকদলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিরোধীরাও। বাঘের ডেরা আজ বিক্ষোভের আগুনে জ্বলছে। ‘অত্যাচারী’ শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) সাম্রাজ্য গুঁড়িয়ে দিতে লাঠি-ঝাাঁটা হাতে মহিলাদের প্রতিবাদে অস্বস্তিতে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress)।

গত মাস থেকেই চর্চার কেন্দ্রবিন্দু তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান শাসিত ‘সন্দেশখালি’ (Sandeshkhali)। প্রথমে ইডি পেটানোর ঘটনা আর তারপর এলাকার হিন্দু মহিলাদের উপর হওয়া অত্যাচারের ঘটনায় স্তব্ধ সবাই। অপরাধ এখানেই শেষ নয়, স্থানীয় মানুষদের উপর হওয়া অত্যাচারের বিবরণ শুনে শিহরিত গোটা রাজ্য।

আর এবার এই প্রেক্ষাপটে চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আইনজীবী। এইদিন ‘ফেরার’ তৃণমূল নেতার জামিনের বিরোধীতায় সরব ‘ইডির কৌঁসুলি’ যা বলেন তাতে বিস্মিত সকলেই। উল্লেখ্য, সম্প্রতি আদালতে আগাম জামিনের আবেদন পেশ করেন পলাতক শেখ শাহজাহান। তার আইনজীবী জানান, শাহজাহানের নিরাপত্তা নিশ্চিত হলেই তিনি সকলের সামনে আসবেন। তিনি কোথাও পালিয়ে যাচ্ছেননা।

আরও পড়ুন : সন্দেশখালি ইস্যুতে নন্দীগ্রাম, সিঙ্গুর টেনে আনলেন চন্দ্রিমা! মন্ত্রীর মন্তব্যে রাজ্যে শোরগোল

যদিও তার এই কথার মোক্ষম জবাব ইডির কৌঁসুলির কাছেও মজুত ছিল। তিনি পাল্টা সওয়াল করেন, শাহজাহান কোনও ছোটখাটো মানুষ নন। সন্দেশখালিতে তার এক ফোনে ১৫ মিনিটের মধ্যে কম করেও ৩ হাজার মানুষ জড়ো হয়ে যায়। এমনকি কেন্দ্রীয় বাহিনীর সামনেই তদন্তকারী কর্মকর্তাদের উপর চড়াও হতেও দ্বিধা বোধ করেনি তারা। তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা কি আদৌ উচিত?

আরও পড়ুন : দক্ষিণবঙ্গে ‘অশনি’ সংকেত! ৭২ ঘণ্টা কাঁপিয়ে ঝড়বৃষ্টি জেলায় জেলায়, IMD-র ভয়ঙ্কর রিপোর্ট

এরপরেই তিনি শাহজাহানেরই দাখিল করা দুটি হলফনামা পেশ করেন আদালতে। এই দুই হলফনামায় নাকি নিজেকে হিন্দু বলে পরিচয় দিয়েছেন তৃণমূল নেতা। তার নামের পাশে সই অবধি রয়েছে। সেটার দিকেই ইঙ্গিত করে ইডি কৌঁসুলি জিজ্ঞেস করেন, ‘শাহজাহান কি হিন্দু? ধর্ম বদলে দেখানো হয়েছে কেন?’ আইনজীবীর মতে, ধর্ম বদলে দেখানোর পেছনে কোনও নেপথ্য অভিসন্ধি থাকতে পারে। আর যদি সেটা না হয় তাহলে শাহজাহানের নাম বদলানো হয়েছে কেন এবং সইটাই বা কত করেছে?

Moumita Mondal
Moumita Mondal

মৌমিতা মণ্ডল, গ্র্যাজুয়েশনের পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। বিগত ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখালেখির সাথে যুক্ত। প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর