বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গুরুনানকের জন্মদিনে এক বড় ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (narendra modi)। তিনি বললেন, ‘আমি দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাইছি। আমরা তিনটি কৃষি আইন রদ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি’। এরপরই কৃষক শিবির থেকে বিরোধী পক্ষ সর্বত্রই ছড়িয়ে যায় খুশির হাওয়া। বিগত দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে দিল্লী সীমান্তে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া কৃষকদের হল বড় জয়।
তবে কৃষকদের এই জয়কে আবার নিজেদের জয় বলেও মনে করছে বিরোধীরা। তাঁরা মনে করছেন, তাঁদের আন্দোলনের জেরেই পিছিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছে মোদী সরকার। তবে একটু তলিয়ে ভাবলেই দেখা যাবে লাভ নয়, বরং উলটে বিরোধীদের শিক্ষা নেওয়া উচিৎ সরকারের এই সিদ্ধান্ত থেকে।
সরকারের এই সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে জয় শুধুমাত্র কৃষকদেরই হয়েছে। কারণ তাঁদের গণ আন্দোলনেই ‘অচলায়তন’ ভেঙে দিয়ে মত বদল করতে বাধ্য হয়ে কেন্দ্র সরকার। এখানে কোন কৃতিত্বই নেই বিরোধীদের। কৃষকদের কষ্টের সিকিভাগও করেনি তাঁরা।
কেন্দ্রর সরকারের প্রস্তাবিত কৃষি বিলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলেও, কৃষকরা তাঁদের এই আন্দোলনে কিন্তু কোন রাজনীতির রং লাগতে দেয়নি। বিরোধীরা যতই সংসদ অচল করুক না কেন, কৃষকদের এই আন্দোলনের জোরেই, শেষমেশ পিছু হটতে বাধ্য হল কেন্দ্র।
প্রকৃতপক্ষে কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত গ্রহণের ফলে কিছুটা সমস্যাই হল বিরোধীদের। এতদিন ধরে মোদী-শাহকে যে তাঁরা ফ্যাসিস্ট, একরোখা, একনায়ক বলে আক্রমণ করছিলেন, তা আর করতে পারবেন না। সর্বপোরি তাঁদের হাত থেকেই এক মোক্ষম হাতিয়ার কেড়ে নিল কেন্দ্র সরকার। আর রইল উত্তরপ্রদেশ ভোটের বিষয়। মোদী-শাহ কোন সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে, সেটার পরিণাম জেনেই মাঠে নামেন। তাই এই সিদ্ধান্তের ফলে বিজেপির কিচ্ছুই হারানোর নেই।