কমলালেবু বিক্রি করেই তৈরি করেছেন স্কুল, ছড়িয়েছেন শিক্ষার আলো, পদ্মশ্রী পেলেন হাজাব্বা

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করেন কমলালেবু (orange) বিক্রি, দিনে আয় মাত্র ১৫০ টাকা। আর তা থেকেই টাকা কমিয়ে তৈরি করে ফেললেন এক স্কুল বাড়ি। নিজে কখনও স্কুল না গেলেও, বোঝেন শিক্ষার মূল্য। সেই কারণে নিজের আয় থেকে বাঁচিয়ে এই স্কুল তৈরি করলেন গ্রামের বাচ্চাদের জন্য। আর এই কাজের জন্যই দেশের চতুর্থ বেসামরিক পদক ‘পদ্মশ্রী’ (padma shri) পেলেন হরেকালা হাজাব্বা (harekala hajabba)।

ম্যাঙ্গালুরুর নিউপাদাপুত গ্রামের বাসিন্দা ৬০ উর্দ্ধ হরেকালা হাজাব্বা পেশায় একজন কমলালেবু বিক্রেতা। দিনে আয় প্রায় ১৫০ টাকা। আর সেই টাকা জমিয়ে জমিয়েই তৈরি করলেন স্কুল। যেখানে বর্তমানে ১৭৫ জন ছাত্রও রয়েছে এবং এই স্কুলে দশম শ্রেণী পর্যন্ত ক্লাস হয়।

নিজে শিক্ষার আলোয় আলোকিত না হলেও, গ্রামের ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা যাতে অজ্ঞ না থাকে, তাঁদের মধ্যে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দিতেই এই স্কুল তৈরি করেন হরেকালা হাজাব্বা। ২০০০ সালে এক একর জমিতে এই স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন হরেকালা। আর এরপর থেকেই এলাকাবাসীর কাছে ‘অক্ষরা সান্তা’ নামে পরিচিত হন তিনি। এখন তাঁর স্বপ্ন স্কুলের পর একটি কলেজ তৈরি করা।

নিজের এই মহৎ কাজের জন্যই রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের হাত থেকে ‘পদ্মশ্রী’ পুরস্কার পেলেন এই বছর ৬৪-র হরেকালা হাজাব্বা। তিনি বলেন, ‘একবার এক বিদেশী দম্পতি আমাকে কমলালেবুর দাম জিজ্ঞেস করায়, আমি কিছুই বুঝতে পারিনি। তাঁরা চলে গেলে আমার খুব খারাপ লাগে। কারণ আমি তো টুলু ও বিয়ারি ভাষা ছাড়া কিছু জানি না, তাই তাঁদের ভাষা বুঝিনি। তখন আমি ঠিক করি, এই সমস্যা যেন গ্রামের অন্য বাচ্চাদের না হয়। আর সেই কারণেই এই স্কুল তৈরি’।

Smita Hari

সম্পর্কিত খবর