উত্তরপ্রদেশ-সহ অন্য রাজ্যে তো পার্মিশনই দিচ্ছে না, আমি কিন্তু দিলাম: পুজো প্রসঙ্গে মমতা ব্যানার্জী

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ হাতে বাকি আর মাত্র কদিন, তারপরই বাঙালীর শ্রেষ্ঠ উৎসব দূর্গা পুজো (Durga puja)। পশ্চিমবাংলায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী (Mamata Banerjee) মায়ের আগমনে সম্মতি দিলেও, শুধুমাত্র একটি ক্লাবকে পুজোর অনুমতি দিল দিল্লীর কেজরিওয়াল সরকার (Arvind Kejriwal)। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী করোনা আবহে সমস্ত রকম নিধি নিষেধ মেনে, তবেই পুজো করার অনুমতি দিয়েছেন।

এবছরের শুরু থেকেই করোনা মহামারির কারণে সমস্ত অনুষ্ঠান, জমায়েতে দাড়ি টেনেছিল কেন্দ্র সরকার থেকে শুরু করে রাজ্য সরকার। তবে লকডাউন পর্ব বেশ কিছুটা শিথিল হওয়ায় ধীরে ধীরে আবার সবকিছু আগের মত স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে শুরু করেছে। বাঙালীর বারো মাসে তেরো পার্বণ লেগেই রয়েছে। তবে বেশ কিছু উৎসবে মত না দিলেও, বাঙালীর শ্রেষ্ঠ উৎসব দূর্গা পুজোতে সম্মতি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী।

durga puja wallpaper 4

কলকাতায় ইতিমধ্যেই বিভিন্ন মণ্ডপে মণ্ডপে পুজোর কাজ শুরু হয়ে গেছে। তবে এবার আর কোন রেষারেষি নয়, শান্তি পূর্ণ ভাবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মানুষের স্বার্থেই হবে দূর্গা পুজো। চিকিৎসকদের জয়েন্ট ফোরাম মুখ্যমন্ত্রীকে সতর্ক করেছিল, পুজোয় মানুষের ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে, করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণ রেখা পার করে ফেলবে।

সকলের কথা চিন্তা করেই এবারে পুজোতে খোলামেলা প্যান্ডেল করার পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। যাতে খোলামেলা পরিবেশে জীবাণু থাকলেও, তা বেরিয়ে যায়। সেইসঙ্গে থাকবে মাস্ক ব্যবহার এবং স্যানেটাইজেশন প্রক্রিয়াও।

বাংলা দূর্গাপুজোতে মত দিলেও, রাজধানী দিল্লীতে দূর্গা পুজোতে সম্মতি দেয়নি মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল সরকার। এমনকি ঘট পুজোতেও মেলেনি অনুমতি। শুধুমাত্র সিআর পার্ক কালীবাড়িতে পুজোর অনুমতি দিলেও, নেই সর্বসাধারণের প্রবেশের অনুমতি। প্রতিমা দর্শন থেকে অষ্টমীর অঞ্জলি, সবকিছুই সম্প্রচারিত হবে স্থানীয় কেবল চ্যানেলে।

3WB Mamata Banerjee followin

সোমবার নবান্নে এক সাংবাদিক বৈঠকে দূর্গা পুজোর প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী বলেন, ‘দিল্লী সরকার তো মাত্র একটা পুজোতে অনুমতি দিল, উত্তরপ্রদেশ সহ অন্য রাজ্য তো তাও দিচ্ছে না। তবে দেখুন আমি কিন্তু পুজোতে সম্মতি দিলাম’। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন উঠেছে, মমতা ব্যানার্জী এবং অরবিন্দ কেজরিওয়াল রাজনীতির মঞ্চে বন্ধুত্ব বজায় রাখলেও, সাধারণের কল্যাণে তাদের ভিন্ন মত রয়েছে।


Smita Hari

সম্পর্কিত খবর