বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নাগরিকতা সংশোধন আইন (CAA) নিয়ে ভারত (India) জুড়ে অনেক জায়গাতেই উসকানি মূলক মন্তব্য আর হিংসাত্মক বিরোধ প্রদর্শন দেখা গেছে। এরই মধ্যে একটি আপত্তিজনক ভিডিও সামনে এসেছে, ভিডিওতে যেই ভাষায় কথা বলা হয়েছে, সেটা শুনে অন্তন মনে হয়নি যে এটা কোন ভারতীয়র কথা। ওই ভিডিওতে আলগাওবাদী দেশকে বিভাজন করার অ্যাজেন্ডা পরিস্কার দেখে গেছে।
টুকড়ে টুকড়ে গ্যাং নিয়ে চলা রাজনৈতিক টানাপোড়েনের মধ্যে JNU এর ছাত্র শরজিল ইমাম (Sharjeel Imam) এর এই ভিডিওয় ভারতের পূর্বত্তর রাজ্য আর অসমকে (Assam) ভারতের থেকে আলাদা করার ষড়যন্ত্রের মুখোশ খুলে গেলো। এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় খুব ভাইরাল হচ্ছে। অসম সরকার এই ভিডিও দেখার পর JNU এর ছাত্র মামলা দায়ের করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
JNU ছাত্র ইমাম ভাইরাল ভিডিওতে বলছে, ‘আমাদের কাছে সংগঠিত মানুষ আছে, তাহলে আমরা ভারত থেকে অসমকে পাকাপাকি ভাবে আলাদা করতে পারি। স্থায়ী ভাবে না হলেও, এক দুমাসের জন্য আমরা অসমকে ভারতের থেকে আলাদা করতেই পারি। রেল ট্র্যাকে এত ধ্বংসস্তূপ ফেলো, যেটা পরিস্কার করতেই একমাস লেগে যাবে। কেউ যেতে চাইলে বায়ুসেনার সাহায্য নিয়ে যাক। অসমকে ভারতের থেকে বিচ্ছিন্ন করা আমাদের দায়িত্ব।”
दोस्तों शाहीन बाग़ की असलियत देखें:
१)असम को इंडिया से काट कर अलग करना हमारी ज़िम्मेदारी
२)”Chicken Neck” मुसलमानो का है
३)इतना मवाद डालो पटरी पे की इंडिया की फ़ौज Assam जा ना सके
४)सारे ग़ैर मुसलमानो को मुसलमानों के शर्त पर ही आना होगा
If this is not ANTI NATIONAL then what is? pic.twitter.com/kgxl3GLwx1— Sambit Patra (@sambitswaraj) January 25, 2020
উস্কানিমূলক ভিডিওতে ইমাম বলে, ‘ভারত আর অসম আলাদা হয়ে গেলেই সবাই আমাদের কথা শুনবে। আপনারা জানেন, অসমে মুসলিমদের কি অবস্থা? সেখানে এনআরসি লাগু হয়ে গেছে। মুসলিমদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। ছয় আট মাসের মধ্যে শোনা যাবে যে, বাঙালীদের মেরে ফেলা হবে। যদি আমরা অসমকে সাহায্য করতে চাই, তাহলে সবার আগে অসমের রাস্তা বন্ধ কোর্টে হবে।”
অসমের মন্ত্রী হেমন্ত বিশ্বশর্মা বলেন, ‘দিল্লীর শাহিনবাগের বিরোধ প্রদর্শনের প্রধান আয়োজক ইমাম বলছে যে, অসমকে ভারতের থেকে আলাদা করে দেওয়া হবে। রাজ্য সরকার এই দেশদ্রোহী বয়ানের বিরুদ্ধে অ্যাকশন নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”