গঙ্গাসাগরে পূন্যস্নান, ভিড় ছাড়ালো ৩৫ লক্ষ্য

Published On:

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ আজ মকরসংক্রান্তি। দেশ জুড়ে উতসবের আবহ। হিন্দু মতে এই দিন স্নান করলে পূন্য হয়। তাই দেশের বিভিন্ন স্থানে আজ গঙ্গাস্নান করবার রীতি। আর সেই স্নানের সব থেকে জনপ্রিয় স্থান হল গঙ্গা যেখানে সাগরে মিশেছে গঙ্গাসাগর। আজ বুধবার সারা দিন ধরেই চলবে শাহি স্নান। রাজ্য সরকারের দাবি, এবছর পুণ্যার্থীর সংখ্যা ৩৫ লক্ষ ছাড়িয়ে গেছে।

সাগরে অস্থায়ী শেড গুলিতে উপচে পড়েছে ভিড়। অনেকেই স্থান না পেয়ে রয়েছেন খোলা আকাশের নীচে। পূন্য লগ্ন শুরু হওয়ার সাথে সাথেই কনকনে ঠান্ডা উপেক্ষা করে গঙ্গায় ডুব দিয়েছেন পূন্যার্থীরা। দেবী গঙ্গা আর কপিল্মুনির নামে উঠছে মুহুর্মুহু জয়ধ্বনি। মেলা তদারকির জন্য আছেন পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, যুবকল্যাণমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এবং বিদ্যুত্‍মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।  নজরদারির জন্য এক হাজার সিসিটিভি , ৭টি ড্রোন ও বিশাল পুলিশ বাহিনী। তৈরী হয়েছে কন্ট্রোল রুম।

মহাভারতের কাহিনি অনুসারে, রাজা সগর অশ্বমেধ যজ্ঞ করলে দেবরাজ ইন্দ্র তাতে ঈর্ষান্বিত হয়ে যজ্ঞের পবিত্র ঘোড়া অপহরণ করেন। সগর তার ষাট হাজার পুত্রকে অশ্বের খোঁজে পাঠান। তারা পাতালে ধ্যানমগ্ন মহর্ষি কপিলের ঘোড়াটিকে দেখতে পান। মহর্ষিকে চোর সন্দেহ করে তারা তার বহু বছরের ধ্যান ভঙ্গ করলে ক্রুদ্ধ মহর্ষি দৃষ্টিপাত মাত্র তাদের ভস্ম করে দেন। গঙ্গাসাগরে সগর রাজার ষাট হাজার সন্তানের আত্মা পারলৌকিক ক্রিয়ার অভাবে প্রেতরূপে আবদ্ধ হয়ে থাকেন।

পরে সগরের বংশধর, রাজা দিলীপের পুত্র ভগীরথ তাদের আত্মার মুক্তিকামনায় গঙ্গাকে মর্ত্যে নিয়ে আসার মানসে ব্রহ্মার তপস্যা শুরু করেন এবং সফল হন। অনেক কষ্ট করে ভগীরথ গঙ্গাকে সাগরে নিয়ে আসেন । সাগরে গঙ্গার স্পর্শে সগরের ষাট হাজার সন্তান মুক্তি পায়।

X