বাংলা হান্ট ডেস্ক: যে কোনো কাজ করার ক্ষেত্রে যেটা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন তা হল মনের জোর। কারণ আত্মবিশ্বাসের ওপর ভর করেই সমস্ত প্রতিকূলতাকে জয় করা সম্ভব। এমনকি, শারীরিক প্রতিবন্ধকতাও দূরে সরে যায় সেখানে। এমতাবস্থায়, বর্তমান প্রতিবেদনে আমরা আজ এমন দুই বোনের প্রসঙ্গ উপস্থাপিত করব যারা জন্ম থেকেই কার্যত শারীরিকভাবে “এক” হয়ে রয়েছেন। মূলত, ওই দুই বোনের মাথাটি জোড়া। কিন্তু, তা সত্বেও তেলেঙ্গানার ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে দুর্দান্ত নম্বর নিয়ে পাশ করেছেন তাঁরা।
পাশাপাশি, এই ঘটনা অনুপ্রাণিত করেছে বাকিদেরকেও। মূলত, গত মঙ্গলবার তেলেঙ্গানা স্টেট বোর্ড অফ ইন্টারমিডিয়েট এডুকেশন, ইন্টারের প্রথম বর্ষ এবং দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের ফলাফল ঘোষণা করে। এমতাবস্থায়, বীণা ও বাণী নামের ওই দুই যমজ বোন ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হয়েছেন। এদিকে, তাঁদের এই বিরাট সফলতায় তেলেঙ্গানার আদিবাসী এবং মহিলা ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী সত্যবতী রাঠোড় বীণা ও বাণীকে বিশেষ অভিনন্দন জানিয়েছেন।
পাশাপাশি, তিনি জানিয়েছেন যে, তাঁদের উচ্চ শিক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত সুবিধা প্রদান করবে সরকার। এছাড়াও, বীণা ও বাণীকে সাহায্য করা আধিকারিকদেরও তিনি সাধুবাদ জানিয়েছেন। উল্লেখ্য যে, সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে বীণা ও বাণী জানিয়েছেন, তাঁদের ইচ্ছে হল চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট হওয়া। তাই, তাঁরা পরবর্তীকালে ফাউন্ডেশন কোর্সে যোগদান করবেন বলে জানান।
মূলত, বীণা দশম শ্রেণীর পরীক্ষায় ৯.৩ এবং বাণী ৯.২ গ্রেড পেয়েছেন। পাশাপাশি, বাণীর প্রাপ্ত নম্বর হল ৭১২ এবং বীণা ৭০৭ নম্বর নিয়ে পাশ করেছেন। তাঁরা উভয়েই ইংরেজি ও তেলেগুতে ভালো নম্বর পেয়েছেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০০৩ সালে তেলেঙ্গানার মেহবুবনগর জেলায় জন্ম হয়ে এই দুই বোনের। এমতাবস্থায়, তাঁদের চিকিৎসার খরচ সামলাতে হিমশিম খেতে হত পরিবারের সদস্যদের। প্রায় ১২ বছর বয়স পর্যন্ত তাঁরা নিলোফার হাসপাতালে ছিলেন। চিকিৎসকেরা তাঁদের একাধিকবার আলাদা করার চেষ্টা করলেও সফল হননি। পরবর্তীকালে সেখান থেকে বীণা ও বাণী বাড়িতে আসেন।