মধ্যপ্রদেশে মিরাক্যাল, ৫০ ঘন্টার তৈরি হয়ে গেল অক্সিজেন প্ল্যান্ট

বাংলা হান্ট ডেস্ক: করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের দাপটে ভারতের অবস্থা সংকটজনক। এই মুহূর্তে করোনায় প্রতিদিন প্রায় তিন লাখ মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন, মারা যাচ্ছেন দিনপ্রতি দুই হাজারের বেশি মানুষ। হাসপাতালগুলোয় অক্সিজেনের জন্য হাহাকার। রাস্তায় অ্যাম্বুলেন্সের আওয়াজ। শ্মশানে পোড়া লাশের গন্ধ।এমন পরিস্থিতিতে স্রেফ ৫০ ঘণ্টায় অক্সিজেন প্ল্যান্ট তৈরি করে নজির গড়ল মধ্যপ্রদেশের রেবা জেলা প্রশাসন। সেখানে ৫০ ঘণ্টায় ইঞ্জিনয়ার ও আধিকারিকদের অদম্য চেষ্টায় তৈরি হয়েছে অক্সিজেন প্ল্যান্ট। যার মাধ্যমে ১০০ সিলিন্ডার অক্সিজেন ভর্তি করা সম্ভব হবে।

কয়েকদিন পরই সেখান থেকে ৭০০ সিলিন্ডার রি-ফিল করা যাবে বলে জানা গিয়েছে প্রশাসন সূত্রে। রেবা জেলায় এখনও ৫০ কিলোলিটার অক্সিজেন মজুত রয়েছে। জেলা প্রশাসক ইলোয়ারাজা টি জানিয়েছেন, ৮ বিধায়কের তহবিল থেকে ১৭০টি অক্সিজেন কনসেনট্রেটর কেনা হয়েছে। যার মধ্যে ইতিমধ্যেই ৭০টি কার্যকরী রয়েছে। বাকি ১০০টি দু’দিনের মধ্যেই কার্যকরী হবে বলে জানা গিয়েছে। রেবা জেলায় এখনও অক্সিজেনযুক্ত ২০০ বেড উপলব্ধ রয়েছে। যার মধ্যে ৫২টি অক্সিজেনযুক্ত বেড ১২ কমিউনিটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে তৈরি করা হয়েছে।

এর আগে প্রত্যন্ত এলাকা-সহ দেশের ১০০টি হাসপাতালে অক্সিজেন তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। আর তা তৈরিতে ব্যবহার করা হবে পিএম-কেয়ার ফান্ডের টাকা।ভারতে কেন অক্সিজেনের সংকট দেখা যাচ্ছে?ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, সাধারণত ভারতে স্বাস্থ্য খাতে অক্সিজেনের মোট সরবরাহের ১৫ শতাংশ ব্যয় হয়। বাকিটা শিল্প খাতে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। কিন্তু করোনার এই দ্বিতীয় ঢেউয়ে দেশটির মোট অক্সিজেন সরবরাহের ৯০ শতাংশই স্বাস্থ্য খাতে দিতে হচ্ছে। প্রতিদিন এ খাতে সাড়ে ৭ হাজার মেট্রিক টন অক্সিজেন খরচ হচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা রাজেশ ভূষণ। গত বছরের সেপ্টেম্বরের চাহিদার তুলনায় এটি তিন গুণ বেশি।

 

Udayan Biswas

সম্পর্কিত খবর