কেরামতি দেখাতে পদ্মা সেতুর নাট বল্টু খুলে ছিল যুবক, এবার তার বাড়িতে চলল হামলা

বাংলাহান্ট ডেস্ক : দিন কয়েক আগে বাংলাদেশের স্বপ্নের পদ্মা সেতুতে উঠেছিলেন তিনি আর তারপরেই পদ্মা সেতুর কয়েকটা নাট বল্টু খুলে জনগণের সামনে দেখাতেই জনপ্রিয় বাংলাদেশের এক জনপ্রিয় টিকটকার মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে ওঠেন। এবার সেই টিকটক ভিডিও ভাইরাল হওয়া দৌলত এই বিপত্তি। পদ্মাসেতুর নাট বল্টু খুলে টিকটক ভিডিও বানানো যুবকের বাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠল।

সূত্রের খবর, বায়েজিদ তালহার মেজবৌদি হাদিসা বেগম জানিয়েছেন, কুড়ি পঁচিশ জন সশস্ত্র যুবক প্রায় দশ বারোটি মোটরবাইক করে এসে তাদের বাড়িতে হামলা চালিয়েছে। ওই যুবকেরা রামদা, কুড়ুল জাতীয় জিনিস দিয়ে বাড়ির টিনের পাঁচিল ভাঙচুর করে। ঘরের মধ্যে ঢুকে জিনিষপত্র তছনছ করে। এলাকার অন্যান্য বাসিন্দাদের বক্তব্য, হামলাকারী যুবকদের কাউকেই তারা চেনেন না। হামলাকারীরা পটুয়াখালী থেকে এসেছিল বলে তাদের ধারণা। পটুয়াখালী সদর থানার এসআই ছলিমুর রহমান জানিয়েছেন, তারা এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন।

যদিও বায়েজিদ তালহা নামের বছর ত্রিশের টিকটকারকে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। যুবককে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে বাংলাদেশের পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (সাইবার ইন্টিলিজেন্স) রেজাউল মাসুদ জানিয়েছেন, বরিশালের পটুয়াখালী গ্রামের বাসিন্দা বায়েজিদ। ঢাকার একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত তিনি। তদন্তকারী অফিসাররা জানাচ্ছেন, টিকটক ভিডিও করার জন্য ওই ব্যক্তি নাট বল্টু খুলেছিলেন নাকি অন্য কোন উদ্দেশ্য ছিল সে বিষয়ে তদন্ত চলছে। তদন্তের জন্য একাধিক অফিসার ওই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছেন।

jpg 20220629 143330 0000

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত শনিবার ৬ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রবিবার থেকে তা খুলে দেওয়া হয় সর্বসাধারণের জন্য। রবিবার সকাল থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পদ্মা সেতুতে গিয়ে ছবি ভিডিও বানানো পোস্ট চোখে পড়তে থাকে। একটি ভিডিওতে দেখা যায় একজন যুবক হাত দিয়ে পদ্মাসেতুর নাট বল্টু খুলছেন। তারপরই ভাইরাল হয়েছে সেই ভিডিও। এরপরই পুলিশ তদন্ত শুরু করে এবং গ্রেপ্তার করে বায়েজিদ তালহা নামের বছর ত্রিশের ওই যুবককে।


Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর