শুধু কীর্তন গেয়েই প্রথম, গুরুজির ছাত্র বলে? নেপোটিজম নিয়ে মুখ খুললেন বিজয়ী পদ্ম পলাশ

বাংলাহান্ট ডেস্ক: সারেগামাপার (SaReGaMaPa) অবিচ্ছেদ্য অংশ বিতর্ক। বাংলা গানের রিয়েলিটি শোতে হিন্দি গানের আধিক্য বা বলিউডের গায়ক গায়িকাকে বিচারক হিসাবে আনা থেকে গ্র্যান্ড ফিনালের পর বিজয়ী নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক, প্রত্যেক সিজনেই বাঁধাধরা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এবারেও পদ্ম পলাশকে (Padma Palash) বিজেতা হতে দেখে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন নেটনাগরিকদের একটা বড় অংশ। এমনকি উঠেছে স্বজনপোষণের অভিযোগও।

এবারে প্রথম বারের কোনো রিয়েলিটি শোতে গুরুজির আসনে দেখা গিয়েছিল পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তীকে। আর তাঁরই ছাত্র হলেন পদ্ম পলাশ। শোতে একথা নিজেই বলেছেন পণ্ডিতজি। ব্যস, দুয়ে দুয়ে চার করে স্বজনপোষণের অভিযোগ তুলে দিয়েছেন নেটনাগরিকদের একাংশ। এ বিষয়ে কী বক্তব্য সারেগামাপা বিজয়ীর?

padma palash

সদ্য জয়ের স্বাদ চেখেছেন লক্ষ্মীকান্তপুরের কীর্তন শিল্পী। এখনো শুভেচ্ছার জোয়ারে ভাসছেন তিনি। সংবাদ মাধ্যমকে পদ্ম পলাশ বলেন, রবিবার রাতে ফলাফল ঘোষনা হওয়ার পর থেকেই একের পর এক ফোন এসেছে। অনেকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। কিন্তু প্রশংসার থেকে তো বেশি সমালোচনা শুনছেন পদ্ম পলাশ!

সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, ২০১৫ থেকে পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তীর কাছে গান শিখছেন তিনি। কিন্তু পণ্ডিতজি যে সারেগামাপায় গুরুজির আসনে রয়েছেন তা তিনি জানতেনই না, দাবি পদ্ম পলাশের। আবার তিনি এও জানান, তিনি যে কীর্তন গান সেটাও নাকি গুরুজি জানতেন না। সারেগামাপায় তাঁকে প্রথম বার দেখে প্রশংসা করেছিলেন পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী।

পদ্ম পলাশ স্পষ্ট জানান, সারেগামাপার বিচারক শান্তনু মৈত্র, শ্রীকান্ত আচার্য, রিচা শর্মারা তাঁর ব্যক্তিগত ভাবে পরিচিত নন। গুরুজির ছাত্র হিসাবে কোনো অতিরিক্ত সুবিধা পাননি তিনি, তাঁর যোগ্যতা অনুযায়ী বিচার করা হয়েছে। জি বাংলায় কোনো নেপোটিজম হয় না, স্পষ্ট কথা পদ্ম পলাশের।

তাঁর বিরুদ্ধে আরো অভিযোগ, তিনি নাকি শুধু কীর্তন গেয়েই প্রথম হয়েছেন। উত্তরে পদ্ম পলাশ বলেন, যারা এই ধরণের অভিযোগ করছেন তারা আদৌ সারেগামাপা ভাল করে দেখেনইনি। নিজের মূল বিষয়টা ধরে রেখেই অন্য সব ধরণের গান গেয়েছেন তিনি। বাংলা আধুনিক গান থেকে হিন্দি গান, ভক্তিমূলক গান সবকিছুই। তাঁর গান শুনে আবেগঘন হয়ে পড়েছেন হৈমন্তী শুক্লা, তাঁর সঙ্গে গলা মিলিয়েছেন কুমার শানু। এগুলোই প্রাপ্তি, মন্তব্য পদ্ম পলাশের।

অনেকে দাবি করেছেন, পদ্ম পলাশ নন, অ্যালবার্ট কাবোই যোগ্য বিজেতা। দুজনের মধ্যে বন্ধুত্ব কেমন? উত্তরে সারেগামাপা বিজয়ী বলেন, তাঁদের সাঙ্গীতিক বন্ধু। দর্শকদের বিচারে প্রথম হয়েছেন কাবো। চার লক্ষ টাকা পেয়েছেন তিনি। এতে তাঁর বিন্দুমাত্র খেদ নেই। বরং বন্ধুর সাফল্যে তিনি আনন্দিত, বক্তব্য পদ্ম পলাশের।


Niranjana Nag

সম্পর্কিত খবর