বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ফৈজাবাদের বাসিন্দা মহম্মদ শরিফ, বয়স তাঁর ৮০ কোঠায়। ফৈজাবাদের মানুষ তাঁকে এক কথায় শরিফ চাচা বলেই জানে। এত বয়সেও টানটান শরীর, আর মুখে সবসময় হাসি লেগেই আছে তাঁর। হঠাত্ এত তাঁর গুণগান কেন? কি করেছেন তিনি? ২৫ বছরে ২৫ হাজারটা বেওয়ারিস দেহের সত্কার করেছেন। আর তাঁর জন্য ভারত সরকার তাঁকে পুরস্কৃত করেছে। এ বছর পদ্মশ্রী পেয়েছেন ফৈজাবাদের শরিফ চাচা তাঁর এই অসামান্য কর্মের জন্য।
কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হল তিনি কোনও ডোম নন, শব বহন করাও তাঁর কাজ নয়, তা সত্ত্বেও অজানা, অচেনা শবদেহের প্রতি তাঁর কোন কর্তব্যের টানে এ কাজে জড়িয়ে পড়েছেন তিনি কেউ জানে না। এমনকি তিনি নিজেও এ প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি।বেওয়ারিস দেহ, ক্ষতবিক্ষত মরদেহ, যার দাবিদার কেউ নয়, এমন শবদেহের সত্কার করেছেন তিনি। একটা-দুটো নয়, ২৫ হাজার টা! যা ভাবনার অধিক!
চাচা শরিফ আসলে এক সাইকেলের দোকানে সাইকেল সারানোর কাজ করেন। অভাবের সংসার তাঁর। কিন্তু তাতে কি! সমাজের প্রতি তাঁর এমন দায়বদ্ধতা সত্যিই প্রশংসনীয়। চাচা শরিফ নিজে ইসলাম ধর্মের হলেও জাতপাতের তোয়াক্কা না করেই এ কাজ করতেন। দেহ থেকে প্রাণ চলে গিয়েছে, তাকে অন্তিম পরিণতিতে পৌঁছে দেওয়াটাই চাচা শরিফ কর্তব্য বলে মনে করেন। নিঃস্বার্থভাবেই একাজ করেছেন তিনি।
ফৈজাবাদের এই চাচা তাই ভারত সরকারের কাছে পদ্মশ্রী পুরস্কার পাওয়ার যোগ্যতা রাখেন একজন সমাজসেবী হিসাবে। মানবিকতার এক জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত রয়েছে তাঁর কর্মে মধ্যে।