বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে পাকিস্তান আবারও মুখ কালি করল। জম্মু কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে দেওয়ার ইস্যু নিয়ে পাকিস্তান চীনের কাছে সুপারিশ করে UNSC তে গতকাল জরুরি বৈঠক করায়। কিন্তু সেখানেও মুখ পোড়ে পাকিস্তানের, শুধু পাকিস্তানেরই না, তাঁদের সাথে মুখ পোড়ে চীনেরও। কারণ জম্মু কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে UNSC তে বৈঠকে পাকিস্তানের পক্ষে চীন দাঁড়ালেও চীনের সমর্থনে কেউ দাঁড়ায়নি। আরেকদিকে পাকিস্তানের হারের পর এবং ভারতের সাথে পাকিস্তানের উত্তেজনা বাড়ার ফলে পাকিস্তানের বিনিয়োগকারীরা শেয়ার বাজার থেকে টাকা তুলে নেয়। আর এই কারণে পাকিস্তানের শেয়ার বাজার KSE100 ৭০০ সূচক নীচে নেমে যায়। এর ফলে পাকিস্তানের কোটি কোটি টাকা নিমিষের মধ্যে ডুবে যায়। এছাড়াও আমেরিকা পাকিস্তানকে আর্থিক সাহায্য অর্ধেক করে দেওয়ার ঘোষণা করে।
আর্থিক দিক থেকে প্রায় কাঙাল হয়ে যাওয়া পাকিস্তানকে আমেরিকা আরও একটি বড়সড় ঝটকা দিয়ে বর্তমানে জারি আর্থিক সাহায্য অর্ধেক করে দিলো। পাকিস্তানকে এই আর্থিক সাহায্য ক্যারি লুগর বের্মান অ্যাক্ট এর মাধ্যমে ২০০৯ সাল থেকে আমেরিকা দিয়ে আসছিল। রিপোর্ট অনুযায়ী, ক্যারি লুগর বের্মান অ্যাক্ট অনুযায়ী, পাকিস্তানের জন্য জারি আর্থিক সহায়তায় কাটছাঁট করার নির্ণয় ইমরান খানের আমেরিকা যাত্রার তিন সপ্তাহ আগে নেওয়া হয়েছিল। যেটার তথ্য ওয়াশিংটন ইসলামাবাদকে আগেই জানিয়ে দিয়েছিল।
পাকিস্তানের পরিসংখ্যান ব্যুরো এর তরফ থেকে জারি করা দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির পরিসংখ্যান অনুযায়ী। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে পাকিস্তানে আরও ৪০ লক্ষ গরিবের সংখ্যা বাড়বে। এবং আরও ১০ লক্ষ মানুষ বেরোজগার হয়ে যাবে। আর্থিক বিশেষজ্ঞদের মতে পাকিস্তানে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রধান কারণ হল, পাকিস্তানের টাকার দাম পড়ে যায়। ডলারের তুলনায় পাকিস্তানি টাকা ১৬০.৮৭ টাকায় পৌঁছে গেছে। এক বছর আগে পাকিস্তানের টাকার দাম ডলারের তুলনায় ১২৩ টাকা ছিল।