বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পয়সার জন্য পাকিস্তান (Pakistan) প্রথমে সৌদি আরবের (Saudi Arabia) চাকর গিরি করত, আর এখন চীনের (China) গোলাম হয়ে বসে আছে। একসাথে দুটি মালিকের সেবা করার চক্করে সৌদি আরবের সাথে পাকিস্তানের সম্পর্ক খারাপ হচ্ছে।
আর এর সবথেকে তরতাজা উদাহরণ দেখা গেলো বুধবার। ওইদিন পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন অর্গানাইজেশন অফ ইসলামিক কান্ট্রিজকে (OIC) হুমকি দিয়ে দেন। উনি বলেন, OIC কে আমি বলতে চাইছি যে, বিদেশ মন্ত্রী পরিষদের বৈঠকে নিয়ে আমাদের অনেক আশা ছিল। যদি আপনারা এই বৈঠক ডাকতে না পারেন, তাহলে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে এটা বলতে বাধ্য হব যে, অন্যান ইসলামিক দেশের বৈঠক ডাকুন যারা কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে আমাদের পাশে দাঁড়াবে।
পাকিস্তান কাশ্মীর ইস্যুতে বিদেশ মন্ত্রীদের বৈঠক আয়োজন করতে চায়, আর এরজন্য বারবার অনুরোধও করেছে। কিন্তু সলামিক সহযোগী সংগঠন এরকম কোন সন্মেলনের জন্য প্রস্তুত না। আর এটাই পাকিস্তানের সবথেকে বড় সমস্যার কারণ। কুরেশির এরকম ভাবে হুমকি দেওয়ার ঘটনা এটা স্পষ্ট যে পাকিস্তানের সাথে এখন সৌদি আরবের সম্পর্ক খারাপ হয়ে গেছে।
পাকিস্তান সৌদি থেকে মোটা টাকার ঋণ নিত। ২০১৮ এর অক্টোবর মাসে রিয়াদ থেকে তিন বিলিয়ন ডলারের ঋণ নিয়েছিল। তবে সম্প্রতি পাকিস্তানি মিডিয়া জানিয়েছে যে, ইসলামাবাদ সৌদি আরবকে ১ বিলিয়ন ডলার ফেরতও দিয়ে দিয়েছে। কিন্তু তাঁরা এটা বলে নি যে, এরজন্য সৌদি বারবার পাকিস্তানের উপর চাপ সৃষ্টি করছিল। পাকিস্তান দীর্ঘদিন ধরে ঋণ মেটানোর থেকে দূরে পালাত। কিন্তু যখন সৌদি আরব কড়া মনোভাব নেয়, তখন পাকিস্তান ঋণ মেটানোর সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়। যদিও, পাকিস্তান চীনের থেকে টাকা নিয়েই সৌদিকে ঋণ মেটায়।
ইমরান খান (Imran Khan) ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ওনার সুই কাশ্মীরে আটকে গেছে। তিনি প্রতিটি সময়ে কাশ্মীরকে ইস্যু বানাতে চেয়েছেন। আর ওনার এই প্রচেষ্টাই সৌদি আরবকে পাকিস্তানের শত্রু বানিয়ে ফেলেছে। খান লাগাতার ইসলামিক দেশের সংগঠন (OIC) গুলোর উপর চাপ সৃষ্টি করে ওনার ইচ্ছে অনুসারে কাজ করাতে চাইছিলেন। কিন্তু সৌদি আরব এটা নিয়ে বেঁকে বসে। সৌদি পরিস্কার জানিয়ে দিয়েছে যে, কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে তাঁরা কোন কথা বলবে না।
ফেব্রুয়ারি মাসে ইমরান খান OIC এর কাছে বিদেশ মন্ত্রীদের বৈঠক ডাকতে বলেছিল, OIC বৈঠক ডাকবে না বলে জানালে পাকিস্তান মালয়েশিয়ার শরণে যায়। ইমরান খান বলেছিলেন, OIC কাশ্মীর ইস্যুতে মুসলিম দেশ গুলোর পাশে দাঁড়াচ্ছে না, আমরা বিভক্ত হয়ে গেছি, আমাদের নিজস্ব কোন আওয়াজ নেই আর। ইমরান খানের এরকম কটাক্ষ সৌদি আরব মেনে নিতে পারেনি আর তখন থেকেই দুই দেশের সম্পর্ক খারাপ হচ্ছে। আর এবার পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রী সৌদি আরব আর OIC কে হুমকিই দিয়ে দিলেন।