বাংলা হান্ট ডেস্ক: ভারতের (India) ‘ ব্রহ্মাস্ত্র ‘ সুদর্শন চক্রের গোপন তথ্য হাতানোর চেষ্টায় পাকিস্তান! রাশিয়ায় হাতেনাতে ধরা পর পাক চর। তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে সুশৃঙ্খলভাবে কাজ করা একটি গোয়েন্দা চক্রকে হাতেনাতে ধরা পড়েছে — এবং সেই চক্রের মাধ্যমে এস-৪০০ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম সংক্রান্ত সংবেদনশীল প্রযুক্তি ও সামরিক ডাটাপাচারের চেষ্টা করা হচ্ছিল। রুশ কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় অভিযানের সময় এক রুশ নাগরিককে আটক করা হয়েছে; তাকে পাকিস্তানের তরফে কাজ করার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
ভারতের (India) এস-৪০০ এর গোপন তথ্য হাতাতে গিয়ে রাশিয়ায় ধরা পড়ল পাক চর
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে যে মূল অভিযোগ ওঠেছে, তাতে বলা হচ্ছে সে আইএসআই-র (পাক গোয়েন্দা সংস্থা) জন্য রাশিয়ায় থেকে সামরিক হেলিকপ্টার ও এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের তথ্য সংগ্রহ ও পাচারে যুক্ত ছিল। তদন্তকারীরা উল্লেখ করেছেন, বিশেষত Mi-8AMTShV ধরনের মিলিটারি হেলিকপ্টার সংক্রান্ত নথি ও সার্ভিস-ডাটা, আরও কতবছর আগে থেকে রক্ষিত কনফিগারেশন, রাডার ইনস্টলেশন ও রিলেভেন্ট টেকনিক্যাল স্পেসিফিকেশনের তথ্য এখানে লক্ষ্যবস্তু ছিল। কতটুকু ডকুমেন্ট ইতিমধ্যেই পাচার হয়েছিল বা এখনও পাঠানোর চেষ্টা চলছিল— তা নিয়ে প্রাথমিক অনুসন্ধান চলছে। এবার রাশিয়ার পাশাপাশি ভারতের তথ্যও হাতানোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
আরও পড়ুন:RBI-র নির্দেশ মেনে SBI সহ প্রতিটি ব্যাঙ্ক নিল এই বড় পদক্ষেপ! জেনে নিন এখনই
এই ঘটনায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে এস-৪০০ সংক্রান্ত তথ্য পাচারের অভিযোগ। রুশ-মাধ্যমে তৈরি এই উচ্চক্ষমতার এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের প্রযুক্তি যদি অপ্রত্যাশিত হাতে পড়ে যায়, তা জাতীয় নিরাপত্তার জন্য গুরুতর উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে— বিশেষত সেই সময়ে যখন ভারত (India) রাশিয়ার কাছ থেকে এস-৪০০ সিস্টেম আমদানিতে আগ্রহী এবং ইতিমধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য ক্রয়চুক্তি রয়েছে। ভারত রাশিয়ার সঙ্গে ২০১৮ সালে পাঁচটি এস-৪০০ সিস্টেম কেনার চুক্তি করেছিল; এটির যাত্রা ও ডেলিভারির সময়সূচী, পাশাপাশি সম্ভাব্য ভবিষ্যৎ ক্রয়— সব মিলিয়ে প্রতিরক্ষা ও কৌশলগত পরিস্থিতি সংবেদনশীল।
তদন্তকারীরা ঘটনা নিয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছে যে, ভারতের (India) অপারেশন সিঁদুর প্রভৃতি সাম্প্রতিক কার্যক্রমে প্রতিরক্ষামূলক সক্ষমতা বহুগুণ বাড়ানোয় যে কৌশলগত সুবিধা দেখা দিয়েছে, তাতে প্রযুক্তি-চুরির কোনো প্রচেষ্টা এলাকাভিত্তিক ভারসাম্যকে বিঘ্নিত করতে পারে। সূত্রের বরাতে বলা হচ্ছে, রুশ প্রতিরক্ষা তথ্য পাচারের আগেই অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে, তবে তদন্ত চলছে— এবং আন্তর্জাতিক আমদানিকারী অথবা প্রভাবশালী প্রযুক্তি-হস্তান্তরের চ্যানেলগুলোকে খতিয়ে দেখার কাজ চলছে।

আরও পড়ুন:পুরীর মন্দিরে প্রাণ ফিরে পেল মৃত শিশু? ভিডিও ভাইরাল হতেই চমকে গেলেন নেটিজেনরা
এমন পরিস্থিতিতে রাশিয়া-ভিত্তিক নিরাপত্তা, তথ্যসুরক্ষা ও প্রতিরক্ষা সম্পর্কিত ব্যবস্থাগুলোর পুনঃমূল্যায়ন এবং ভারত (India) সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে হ্যাজার্ড রিলিফের উপর গুরুত্ব বাড়ানো কর্তৃপক্ষগুলোর অগ্রাধিকার হয়ে উঠেছে। অপরদিকে, অভিযুক্তের যোগসূত্র, সহকর্মী এবং ব্যাপক চক্র আছে কি না— তা নিয়ে এখনও জিজ্ঞাসাবাদ ও ফরেন্সিক বিশ্লেষণ চলছে; তদন্তকারীরা কোন কূটনৈতিক বা কোর্ট প্রক্রিয়ার পথে এগোবেন, সেই সিদ্ধান্ত কয়েক দিনের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে।












