বাংলাহান্ট ডেস্ক: পাকিস্তানের (Pakistan) অর্থনৈতিক দুরবস্থার প্রভাব এবার পড়েছে তাদের সামরিক বাহিনীতেও। তাদের এতটাই খারাপ অবস্থা যে সেনাকে দু’বেলা ঠিক মতো খাওয়াতেও পারছে না। পাক সেনার (Pakistan army) অফিসাররা জানাচ্ছেন, ইতিমধ্যেই অনেক কিছুতে কাটছাট করা হয়েছে। কিন্তু এ বার জওয়ানরা খেতে পাচ্ছেন না। খাবার সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে পাকিস্তান সেনায়।
সেনার ওই অফিসারের হুঁশিয়ারি, খাবার সরবরাহ বন্ধ করা হলে তাঁরাও কোনও পদক্ষেপ করবেন। সেনার কাজকর্ম বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন তিনি। সীমান্তে একাধিক অপারেশন চলছে পাকিস্তান সেনার। এছাড়াও গোটা দেশেই একাধিক অপারেশন করছে সেনা। বিশেষত আফগানিস্তান সীমান্তে তেহরিক-ই-তালিবানের হামলা বেড়েছে। সেগুলি দমাতে অপারেশন করছে সেনা।
শীর্ষ সেনা কমান্ডার- QMG, CLS এবং DG MO সেনায় খাবার সরবরাহে ঘাটতি নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরের (General Asim Munir) সঙ্গে এ বিষয়ে বৈঠক করেছেন তাঁরা। সেখানে দেশে চলা নিরাপত্তা সংক্রান্ত অপারেশন এবং বিভিন্ন সামরিক অপারেশনের ব্যাপারে তাঁকে জানিয়েছেন। খাবার সরবরাহ নিয়ে চিফ অফ লজিস্টিক্স স্টাফ ও ডিরেক্টর জেনারেল মিলিটারি অপারেশনসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন QMG।
সেনা সূত্রে খবর, দু’বেলা নাকি ঠিক করে খেতে পাচ্ছে না পাকিস্তান সেনার বাহিনী। মুদ্রাস্ফীতির অস্বাভাবিক বৃদ্ধির ফলে বিশেষ তহবিলে কাটছাট করা হয়েছে। ডিজি মিলিটারি অপারেশনস জানিয়েছেন যে বাহিনীর আরও খাবার ও বিশেষ তহবিল প্রয়োজন। সেনাবাহিনী সরবরাহে আর কাটছাট করার অবস্থায় নেই। এটি করা হলে দেশজুড়ে চলা বিভিন্ন সামরিক অপারেশন বন্ধ করে দিতে হবে বলে জানানো হয়েছে।
সেনার আবেদনে সাড়া দিয়েছেন সেনাপ্রধান আসিম মুনির। QMG, CLS এবং DG MO-কে নির্দেশ দিয়েছেন বাহিনীর সমস্ত দাবি যেন মানা হয়। বিশেষত খাদ্য সরবরাহ ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে তহবিলের দাবি যেন মানা হয়। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের বাজেট অনুযায়ী, সামরিক খাতে ৭.৫ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করা হয়েছে। যা বর্তমান মোট খরচের ১৭.৫ শতাংশ। একইসঙ্গে গত অর্থবর্ষের তুলনায় ১১.৬ শতাংশ বেশি এই বরাদ্দ। পাকিস্তান সেনা জওয়ান প্রতি বার্ষিক ১৩ হাজার ৪০০ ডলার খরচ করে।