“ওরা এখনও মৃতদেহ গুণছে”, দিল্লিতে বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করে কী জানালেন PoK-র প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী?

Published on:

Published on:

Follow

বাংলাহান্ট ডেস্ক: দিল্লির লালকেল্লার অদূরে হওয়া ভয়াবহ গাড়িবোমা বিস্ফোরণের দায় এবার সরাসরি নিজের কাঁধে তুলে নিলেন পাক (Pakistan) অধিকৃত কাশ্মীরের প্রাক্তন ‘প্রধানমন্ত্রী’ আনোয়ারুল হক। কট্টর ভারতবিরোধী হিসাবে পরিচিত এই নেতা বুধবার প্রকাশ্যে বলেন, ‘‘আমি আগেই বলেছিলাম, তোমরা যদি বালোচিস্তানে রক্ত ঝরাতে থাকো, তা হলে আমরা ভারতের কাশ্মীরের জঙ্গল থেকে লালকেল্লা পর্যন্ত প্রত্যাঘাত করব। আমরা সেটা করে দেখিয়েছি। ওরা এখনও মৃতদেহ গুণে চলেছে!’’ তাঁর এই মন্তব্য প্রকাশ্যে আসতেই আন্তর্জাতিক মহলে পাকিস্তানকে ঘিরে উদ্বেগ আরও বেড়েছে।

দিল্লি বিস্ফোরণের দায় স্বীকার পাকিস্তানের (Pakistan)

আনোয়ারুল বর্তমানে পাক (Pakistan) অধিকৃত কাশ্মীরের প্রাদেশিক আইনসভার সদস্য। তাঁর এই স্বীকারোক্তি আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহলে পাকিস্তানের অবস্থানকে আরও প্রশ্নবিদ্ধ করবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা। তাঁদের মতে, একটি গণতান্ত্রিক দেশের সরকারি পদে থাকা কোনও নেতার এ ধরনের মন্তব্য শুধু রাজনৈতিক নয়, আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও গভীর তাৎপর্য বহন করে। একই সঙ্গে উঠেছে আরও একটি প্রশ্ন— ‘কাশ্মীরের জঙ্গলে প্রত্যাঘাত’ বলতে তিনি কি গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ের বৈসরণ উপত্যকায় পর্যটক হত্যাকাণ্ডের ঘটনাকেই বোঝাতে চেয়েছেন? যদিও সরাসরি সে প্রসঙ্গে মুখ খোলেননি তিনি।

Pakistan claimed responsibility for the Delhi Blast.

আরও পড়ুন:সমস্ত জল্পনার অবসান! দশম বারের জন্য বিহারের কুরসিতে বসছেন নীতীশ, কারা থাকবেন শপথে?

গত ১০ নভেম্বর সন্ধ্যায় দিল্লির লালকেল্লার কাছে একটি গাড়িবোমা বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় অন্তত ১৩ জনের। আহত হন বহু মানুষ। বিস্ফোরণের মাত্রা ও লালকেল্লার নিকটবর্তীতা বিবেচনায় নিয়ে তদন্ত শুরু করে দিল্লি পুলিশ। তদন্ত এগোতেই চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসে। পুলিশ গ্রেফতার করে একাধিক চিকিৎসককে, যাঁদের প্রত্যেকেরই কোনও না কোনও ভাবে যোগাযোগ ছিল হরিয়ানার ফরিদাবাদের আল-ফালাহ্ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে। ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন এক  জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের সঙ্গে যোগাযোগের অভিযোগে গ্রেফতার মুজাম্মিল আহমেদ এবং শাহিন শাহিদ। ধরা পড়ে বিস্ফোরণের ‘মানববোমা’ উমর-উন-নবিও, যাঁকে এই হামলার মূল কার্যনির্বাহী হিসেবে দেখছে পুলিশ।

তদন্তে ক্রমেই স্পষ্ট হচ্ছে, এ এক সুপরিকল্পিত ‘হোয়াইট কলার টেরর মডিউল’, যেখানে জঙ্গি নেটওয়ার্ক, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং চিকিৎসা পেশার কয়েকজন ব্যক্তির মধ্যে জটিল যোগাযোগ ছিল। তবে তাতে আরও মাত্রা যোগ করলেন আনোয়ারুল হক। তাঁর সরাসরি দায় স্বীকারের দাবি পাকিস্তানের প্রশাসন, রাজনীতি এবং সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলির পারস্পরিক সম্পর্ককে আরও উন্মোচিত করল বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহলের একাংশ।

আরও পড়ুন:ভারতকে SU-57 জেট দিতে প্রস্তুত রাশিয়া! বিনা শর্তে হস্তান্তর করবে প্রযুক্তিও, মিলল বড় আপডেট

ভারত ইতিমধ্যেই বিস্ফোরণ-পরবর্তী তদন্ত জোরদার করেছে। আন্তর্জাতিক মঞ্চে পাকিস্তানের ভূমিকা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। আনোয়ারুলের মন্তব্য পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।